ফাইনালে ওঠায় স্বস্তি মাশরাফির
রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দল হিসেবে দারুণ খেলে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ায় দারুণ খুশি দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। পাশাপাশি দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ না খেলার স্বস্তিও পাচ্ছেন এই পেসার।
শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে জয়ের স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমত! আমরা ফাইনাল খেলতে পারছি। এটা অনেক বড় স্বস্তি। এ ধরনের টুর্নামেন্টে অনেক চাপ থাকে। বাইরের থেকেও বেশি চাপ থাকে। এখনো তো একটা ম্যাচ বাকি। চ্যাম্পিয়ন তো পরে। তবে ফাইনালে যাওয়ায় এই মুহূর্তে ভালো লাগছে।’
ফাইনালে ওঠার আনন্দ বেশি না কালকের ম্যাচ না খেলার স্বস্তিটা বেশি? এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, ‘ফাইনালে ওঠার আনন্দ অবশ্যই অনেক বেশি। যে পর্যায়ের ক্রিকেটই হোক না কেনো, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সব সময়ই লক্ষ্য থাকে শীর্ষে যাওয়ার। সে হিসেবে খুব ভালো লাগছে। একই সাথে একটা ম্যাচ খেলা মানে শরীরের উপর চাপ এবং টেনশনও থাকে। মনে হয় এটাই শেষ সুযোগ।’
এদিন ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে দারুণ পারফর্ম করেছে কুমিল্লার খেলোয়াড়রা। দলের এমন পরিপূর্ণ পারফরম্যান্সেও ভীষণ খুশি মাশরাফি। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করছেন তিনি। আসহার জাইদি, ইমরুলসহ দলের সকল খেলোয়াড়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘যে উইকেট ছিলো, টস জিতলে আমিও বোলিং করতাম। প্রথমে কিছুটা আমরা ভাগ্যবান ছিলাম। উইকেট পড়েনি। এই উইকেটে আমার মনে হয় ১৩০ বা ১৩৫-ও ভালো স্কোর হতে পারে। এই উইকেটে আসলে রান করা খুবই কঠিন। টসের আগে উইকেটে নখ দেবে যাচ্ছিলো। এতো নরম উইকেটে টস জিতে ব্যাটিং করা কঠিন। ইমরুল যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তা ওকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে। লিটনও আজ ভালো খেলেছে। জাইদি আমাদের যেভাবে সার্ভিস দিয়েছে সেটা অবিশ্বাস্য। ওর কাছে এতোটা কেউ আশাও করেনি। একটা সময় মনে হয়েছিলো, আমাদের রান হয়তো ১৪৫ থেকে ১৫০ রানের মধ্যেই হবে। শেষ দুই ওভারে অবিশ্বাস্য ভালো ব্যাটিং করেছে। এ ছাড়া বোলিং তো ও পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো করেছে।’
আরটি/আইএইচএস/আরআইপি