ব্যাটিং বিপর্যয়ে রংপুর


প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫

জিতলেই সরাসরি ফাইনালে। তবে হারলেও সুযোগ থাকছে ফাইনালে যাওয়ার; কিন্তু সেই সুযোগটা আর নিতে চায় না কেউ। কারণ, সন্দেহের অবকাশ না রেখে সরাসরি ফাইনালই নিশ্চিত করে ফেলতে বদ্ধপরিকর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং রংপুর রাইডার্স।

এমনই পরিস্থিতিতে রংপুরের সামনে ১৬৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল রংপুর রাইডার্স। দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স আর সৌম্য সরকার মিলে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিল সাকিব আল হাসানের দলকে।

৪.৩ ওভার খেলে দু’ওপেনার মিলে গড়ে তোলেন ৩৬ রানের জুটি। কিন্তু ৫ম ওভারে গিয়েই খেই হারিয়ে ফেলে রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার রনির সামনে। পর পর দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দিয়ে কুমিল্লাকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তিনি। ৫ম ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্যকে এবং পরের বলেই ফেরান লেন্ডল সিমন্সকে। সৌম্যর দুর্দান্ত ক্যাচটি ধরেন শুভাগত হোম। আর লেন্ডল মিসন্সকে তো দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ডই করে ছাড়লেন রনি। ক্রিকইনফোর লাইভ কমেন্টারিতে লেখা হলো, সম্ভবত এই টুর্নামেন্টের সেরা ডেলিভারি এটা।

তবে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে রনির জন্য, নিশ্চিত হ্যাটট্রিক মিস হয়ে গেছ তার। কারণ সৌম্যকে যে বলে আউট করেছেন তার আগের বলেই বাঁ-হাতি এ ওপেনারের ক্যাচ মিস করেছেন আন্দ্রে রাসেল। ওই ক্যাচটি ধরতে পারলে হ্যাটট্রিকই হয়ে যেতো তার।

৫ম ভারের পর রংপুরের ইনিংসের ওপর ঝড় উঠলো অষ্টম ওভারেও। পাকিস্তানি আসহার জাইদির এক ওভারেই পরপর দুই বলে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ মিথুন এবং সাকিব আল হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলেই জাইদিকে বাউন্ডারি মারেন মিথুন। পরের বলে কোন রান নয়। চতুর্থ বলেই জাইদির বল মারতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মিথুন। কিন্তু ব্যাটের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে পারলেন না। ফলে স্ট্যাম্পিং হয়ে যেতে হলো তাকে।

জহুরুল ইসলাম অমির সঙ্গে জুটি বাধতে ক্রিজে নামেন সাকিব আল হাসান এবং প্রথম বলেই জাইদিকে মারতে গেলেন ছক্কা। কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে ফিল্ডার মাহমুদুল হাসানের সরাসরি হাতে গিয়ে পড়লো বল। সুতরাং, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব। আর ৪৫ রানেই পড়ে গেলো ৪ উইকেট। চরম বিপর্যয়ে রংপুর রাইডার্স।

১১তম ওভারে বল হাতে তুলে নিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর আগেও এক ওভার বল করেছিলেন। ১ রান দিয়েছিলেন ওই ওভারে। ছোট ছোট রানআপে বোলিং করতে এসে এবার সফলতার দেখা পেলেন কুমিল্লার অধিনায়ক। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলেই তুলে নিলেন আফগান ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবির উইকেট। ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন নবি।

১২তম ওভারে ফিরেই প্রথম বলে উইকেট তুলে নিলেন আসহার জাইদি। আগের কয়েকটি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে দারুন চাপে ফেলে দেয়া জহুরুল ইসলাম অমিকে দেখালেন সাজঘরের পথ। আবু হায়দার রনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এ রিপোর্ট লেখার সময় রংপুরের রান ১২ ওভার শেষে ৬৪। ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন থিাসারা পেরেরা এবং ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আল আমিন।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।