এমপির সামনে যুবলীগ নেতাকে পেটালেন ওসি
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় এমপি সিমিন হোসেন রিমির সামনে এক যুবলীগ নেতাকে মারপিট করেছেন ওসি। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের সরকারি ডাকবাংলোতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে টোক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে ইউএনও আনিসুর রহমান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
জানা যায়, বিকেলে কাপাসিয়া শহরের সরকারি ডাকবাংলোতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড এগ লি. ও প্রোটিন হাউজ লি. এমপি রিমির সঙ্গে স্থানীয় পরিবেশবাদীদের পূর্ব নির্ধারিত এক সভা হয়। আলোচনার শেষ পর্যায়ে টোক ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির পক্ষের অমর রঞ্জন চক্রবর্তী টিটুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে টিটুর উপর চড়াও হন কাপাসিয়া থানার ওসি আহসান উল্লাহ। এ সময় ওসি যুবলীগ নেতা টিটুকে কিল, ঘুষি মারেন। তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত হয়ে যুবলীগ নেতাকর্মী পাল্টা ওসির উপর চড়াও হয়। এ সময় উপস্থিত এমপি রিমি, পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করেন।
আকস্মিক এ ঘটনায় এমপি রিমি ক্ষুব্ধ হয়ে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হলে কাপাসিয়া আর আসবো না বলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, টোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন মেম্বার প্রমুখ।
টোক ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমর রঞ্জন চক্রবর্তী টিটু জানান, পরিবেশ দূষিত করায় ডায়মন্ড কোম্পানির গাড়ি আটকানোর ঘটনায় ওসি সরাসরি আমাকে আইন অমান্য করা হয়েছে বলে জানায়। তখন আমি বলি কোনো আন্দোলনই আইন মাফিক হয় না।
টিটু আরও বলেন, এমপি রিমির সামনেই ওসি আমাকে বলে চুপ থাক, তুই চাঁদাবাজ। বেশি বাড়াবাড়ি করলে ভারত পাঠিয়ে দেবো। তুই ইয়াবা ব্যবসা করিস। ওসি নিজেই ইয়াবা খায়, আমার কাছে প্রমাণ আছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, তুচ্ছ ঘটনাটি অনেক বড় করে দেখা হচ্ছে। এ সময় তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/বিএ