গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলয় চেলসি


প্রকাশিত: ০৪:১৯ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

হোসে মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ারের উত্থান হয়েছিল এফসি পোর্তোর হাত ধরেই। এই ক্লাবটিকেই তিনি চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। হাই প্রোফাইল কোচ হওয়ার গল্প শুরু তার সেখান থেকেই। সেই এফসি পোর্তোর বিপক্ষেই বুধবার ডাগ আউটে দাঁড়ালেন দ্য স্পেশাল ওয়ান।

শুধু দাঁড়ানোই নয়, শিষ্যদের দিয়ে এফসি পোর্তোকে হারিয়েও দিলেন মরিনহো। নিজেদের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে পর্তুগিজ ক্লাবটিকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘জি’ গ্রুপে শীর্ষে থেকেই শেষ ষোল নিশ্চিত করলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব চেলসি।

এফসি পোর্তোর বিপক্ষে ম্যাচটি যতটা না চেলসির, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল হোসে মরিনহোর জন্য। এই ম্যাচে হারলেই যে নির্ধারণ হযে যেতো চেলসিতে মরিনহোর বিদায়! ক্লাব মালিক রোমান আভ্রামোভিচের কোপ পড়ে যেতো নিশ্চিতভাবেই মরিনহোর ভাগ্যের ওপর। পোর্তোর কাছে হার মানেই গ্রুপ পর্ব থেকেই চেলসির বিদায় এবং ইউরোপা লিগে নেমে যেতে হতো তাদের। শেষ পর্যন্ত উইলিয়ান এবং ইভান মার্কানোর (আত্মঘাতি) গোলে পোর্তোকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হয়ে গেলো চেলসি। উঠে গেলো শেষ ষোলয়।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ১৫ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতেই হেরেছে ব্লুজরা। শনিবার বোর্নমাউথের মত দলের কাছেও পরাজয়ের স্বাদ নিতে হয়েছিলো তাদেরকে। এখন তো রেলিগেশনের চিন্তাতেই ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে চেলসি কর্মকর্তাদের। এমন একটি পরিস্থিতিতে পোর্তোর বিপক্ষে জয় চেলচির জন্য দারুন টনিক হিসেবেই কাজ দেবে বলে মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা।

পোস্টের নীচে ইয়াসিন ব্রাহিমির পরিবর্তে ফেরানো হয়েছে থিবাত কুর্তোসকে। এ কারণেই পোর্তোর চেষ্টাগুলো সব ব্যর্থ করে দিতে পেরেছিলেন তিনি। অন্যদিকে দিয়েগো কস্তার ওপরই ভরসা ছিল সবচেয়ে বেশি হোসে মরিনহোর। তিনি বেশ চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু গোলের দেখা পাননি। তবে প্রথম যে গোলটি আত্মঘাতি হয়েছিল, সেটির মূল কৃতিত্ব কিন্তু কস্তারই। ১২তম মিনিটেই ইডেন হ্যাজার্ডকে পাস দিয়েছিলেন কস্তা। কিন্তু সেটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন ইভান মারকানো।

খেলার ৫২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা উইলিয়ান। শুরুতেই উইলিয়ানের দুর্দান্ত একটি শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন পোর্তো গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। একটু পরই ইডেন হ্যাজার্ডের দারুন এক পাসে গোলের বল পেয়ে যান উইলিয়ান এবং ডান পায়ের শটে বল জড়িয়ে দেন পোর্তোর জালে।

গ্রুপ (জি গ্রুপ) পর্বের ৬ ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন চেলসি। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হিসেবে শেষ ষোল নিশ্চিত করলো ডায়নামো কিয়েভ। পোর্তোর পয়েন্ট ১০।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।