গোদাগাড়ীর কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের আবেদন


প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফা  হলফনামায় চার মামলার তথ্য গোপন করায় তার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বুধবার নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানির জন্য দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের কাছে এ  আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটাররা।

অভিযোগ রয়েছে, মোফার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী ও ঢাকার রূপনগর থানায় দুটি তদন্তাধীন মাদক মামলাসহ আরও দুটি মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আবেদনকারী ভোটাররা মামলার নম্বর ও  এজাহারের অনুলিপিসহ আবেদন জমা দিয়ে মোফার প্রার্থীতা বাতিলের অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে।    

গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোফার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী ও ঢাকা মহানগরীর রূপনগর থানায় দুটি মাদক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এই দুটির একটির বাদী বিজিবির গোদগাড়ী ফাঁড়ি। দুইশ গ্রাম হেরোইনসহ মোফার ভাগ্নেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবি জানতে পারে এই মাদকের প্রকৃত মালিক মহিষালবাড়ীর মোফাজ্জল হোসেন ওরফে মোফা। অন্যদিকে, রূপনগর থানা পুলিশ করেছে আরেকটি মামলা।

পুলিশ আরও জানায়, এর আগে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় একটি মাদক আটক মামলার পলাতক আসামি ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন মোফা। মামলা থেকে কিছুদিন আগে তিনি খালাস পেয়েছেন। এছাড়া পবা থানার আরেকটি চোরাচালান মামলার আসামি ছিলেন মোফা।  

গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জাগো নিউজকে জানান, মোফাজ্জল হোসেন মোফা থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী ও দালাল। এছাড়া মাদক মামলার তদবিরসহ বিভিন্ন কাজ করাই হচ্ছে তার প্রকৃত পেশা। তবে নিয়ম মোতাবেক তার মামলার তথ্য নির্বাচন কমিশন থেকে তার কাছে চাওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

ওসি জানান, মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ করা প্রার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক। এই ধরনের তথ্য কেউ গোপন করলে তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা।

এদিকে চার মামলার তথ্য গোপন করে প্রার্থীতা বহাল রাখা প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলা রিটার্নিং অফিসার খালিদ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, যাচাই বাছাইয়ের সময় এই কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বা আপত্তি জানাননি। ফলে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কেউ নিয়ম মোতাবেক আপিল করে থাকলে সেটি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।  
এ ব্যাপারে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,

বুধবার আপিল আবেদনের শেষ দিন ছিল। অনেক আপিল জমা পড়েছে। সবগুলো এখনো দেখা হয়নি। সেগুলো দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

এর আগে, মোফা মামলার কারণে কিছুদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকলেও গত ৬ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।