নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে
নভেম্বর মাসেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। মূলত শীতের সবজিতে এই মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। যা অক্টোবর মাসে ছিলো ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। বুধবার পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এরইমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, টমেটোসহ দেখা মিলছে নানা ধরনের শাক-সবজির। একইভাবে অক্টোবর মাসেও মূল্যস্ফীতির হার কমেছিল সবজি সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখা যায়, একই সময়ে খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। অক্টোবর মাসে যা ছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশে। অক্টোবর মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজার ভরে গেছে। কম দামে বাজারে প্রচুর সবজি পাওয়া যাচ্ছে। সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত কমছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ছে। যে কারণে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের জীবন-যাত্রার মান বেড়েছে। তাদের বাড়ি ভাড়া দিতে হয় না, কম দামে নানা পণ্য খেতে পারছেন।
বিবিএস বলছে, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাক জাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। অন্যদিকে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম কমেছে।
এসএ/আরএস/এসএইচএস/পিআর