এবার মার্কিন মুলুকে টি২০ বিশ্বকাপ!
ক্রিকেটের গণ্ডি আরও বিস্তৃত করতে চলেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। নিউইয়র্কে শচিন-ওয়ার্নের অলস্টারর্স সিরিজ দারুন সফল হওয়ার পর আইসিসিও এখন ভাবছে কিভাবে মার্কিন মুলুকেও ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়া যায়। সে ভাবনা থেকেই আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যে কোন আসর আয়োজনের কথা ভাবছে আইসিসি। ভাবনার প্রধান কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের বাজার। আইসিসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, এ মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলাটাকে ছড়িয়ে দিতে পারলে এর বিশ্বায়নের পথে অনেকখানি পথই এগিয়ে যাওয়া হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আইসিসির সামনে সবচেয়ে কার্যকর ও আকর্ষনীয় অনুষঙ্গ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেটের আধুনিক ফরম্যাট দিয়েই মার্কিন মুলুকে এগিয়ে যেতে চায় আইসিসি। আগামী এক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর করার পরিকল্পনার কথা বলেছেন আইসিসির গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট প্রধান টিম অ্যান্ডারসন।
অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমরা খেলাটাকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। সব কিছু ঠিকঠাকভাবে এগোলে আগামী এক দশকের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি আসর অনুষ্ঠিত হবে।’
অ্যান্ডারসন যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল-রাগবির জনপ্রিয়তা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা দারুণ একটা ভাবনা। অতীতে ফুটবলও এই পথে হেঁটেছে, হেঁটেছে রাগবিও। তারাও বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন যুক্তরাষ্ট্রে করে ভালো ফল পেয়েছে। ক্রিকেটও তেমনটাই করতে চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন মার্কিন মুলুকে ক্রিকেট উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনারই অংশ।’
শেন ওয়ার্ন ও শচীন টেন্ডুলকার নামে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি অলস্টার সিরিজ আয়োজন করে দারুণ সফল হয়েছিলেন। ওয়ার্ন-টেন্ডুলকারদের আয়োজনটির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্রিকেটের প্রবেশের প্রাথমিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। বেজবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই তিনটি ম্যাচেই ছিল বিপুল দর্শকের উপস্থিতি।
ব্রায়ান লারা, কোর্টনি ওয়ালশ, ম্যাথু হেইডেন, রিকি পন্টিং, কার্টলি অ্যামব্রোস, জ্যাক ক্যালিস, ওয়াসিম আকরাম. মুত্তিয়া মুরালিধরন ও শোয়েব আকতারদের মতো সাবেক ক্রিকেটারদের খেলা দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে নিউইয়র্ক, হিউস্টন ও লস অ্যাঞ্জেলসের মতো শহরের অধিবাসীদের। যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক উপমহাদেশীয় নাগরিকদের উপস্থিতিও এই খেলাটিকে ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
অ্যান্ডারসন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে খুব শিগগিরই সেখানে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যেই কোনো না কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলতে দেখা যাবে।
আইএইচএস/আরআইপি