মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারকে অবলম্বন করেই দেশ গড়তে হবে


প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারকে অবলম্বন করেই বাংলাদেশকে গড়তে হবে- সেই উত্তরাধিকারকে বিক্রি করে কখনই অর্জন করা যাবে না। সচেতন নাগরিকের আচারণ হবে সুযোগ্য উত্তরাধিকারের মতো- যারা অর্জিত উত্তরাধিকারকে সমৃদ্ধ করে, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।”

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র সিরাজুল ইসলাম লেকচার থিয়েটার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জেনারেল এমএজি ওসমানী মেমোরিয়াল লেকচার ২০১৫ এর ‘বর্তমান দর্পণে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন: নাগরিক চেতনা’ শীর্ষক মেমোরিয়াল লেকচারটির আয়োজক ঢাবির ইতিহাস বিভাগ ও এমএজি ওসমানী স্কলারশীপ ফান্ড।

সুলতানা কামাল বলেন, “নিষ্ঠার স্বাক্ষরের মাধ্যমে একজন নাগরিক সচেতনতার পরিচয় রাখতে পারে। সত্যিকার অর্থে একজন নাগরিককে তখনই সচেতন নাগরিক বলা যায়, যখন সেই নাগরিক ইতিহাস সচেতন হন এবং তার ধারায় বর্তমানকে প্রতিষ্ঠা দিয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণের নির্দেশনা দিতে পারেন। যিনি ঐতিহ্যকে ধারণ করে ভবিষ্যতের স্বরূপ আঁকতে পারেন।”

তিনি আরো বলেন, “একের সঙ্গে অপরের সচেতনতা মিলে তৈরি হয় গণ-সচেতনতা, তখনই ঘটে সম্মিলিত শক্তির উত্থান। সেই সম্মিলিত শক্তি জন্ম দেয় স্বাধীন-সার্বভৌম সামাজিক সক্রিয়তা। দেশের মানুষ যখন সার্বভৌম হয়, তখনই নিশ্চিত হয় দেশের সার্বভৌমত্ব। সেটা অর্জন করতে আমাদের অবশ্যই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক হতে হবে।”

বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠনে আরো বক্তব্য রাখেন- এমএজি ওসমানী স্কলারশীপ ফান্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিরিন হোসেন ওসমানী।

এমএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।