সরকারি অফিসেই মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন


প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

নওগাঁয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রায়োগিক অবস্থা সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণের তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতির ওপর মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট (এসিডি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সোমবার বিকেলে মিট দ্য প্রেস নওগাঁর স্থানীয় দৈনিক ‘প্রথম সংবাদ’ অফিসে তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্য বিনিময় অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ না থাকায় নওগাঁর পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে প্রকাশ্যে চলছে ধূমপান। এমনকি অধিকাংশ সরকারি অফিসগুলোতেই মানা হচ্ছে না এই আইন।

এসিডির প্রতিনিধিরা গত ৮ থেকে ১৩ নভেম্বর নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও কর্মক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণ করা এলাকার মধ্যে রয়েছে, সরকারি কর্মক্ষেত্র/অফিস ২৪টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০টি, ক্লিনিক ও হাসপাতাল ১৫টি, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ১০টি, বাস টার্মিনাল ও বাস কাউন্টার ১০টি ও অন্যান্য পাবলিক প্লেস ১১টি। এসিডি পরিচালিত পর্যবেক্ষণে ২৪টি সরকারি অফিসের মধ্যে তামাকবিরোধী সতর্কীকরণ নোটিশ রয়েছে মাত্র ছয়টিতে।

সদর হাসপাতালসহ ৭৫ শতাংশ হাসপাতালেই সতর্কতা নোটিশ নেই। হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে ১০০ গজের মধ্যে তামাকপণ্যের দোকান রয়েছে।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হওয়ার কারণ হিসেবে আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করে এসিডির প্রকল্প সমন্বয়ক এহসানুল আমিন বলেন, ‘তামাকের ভয়াবহতা কমাতে সচেতনতার পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।’

অনুষ্ঠানে আশ্রয় সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আলো দাস, দৈনিক প্রথম সংবাদের সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ কোয়ালিশন নওগাঁর প্রতিনিধি কায়েস উদ্দিন, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান রতন, মামুনুর রশিদ বাবু, একে সাজু, নাজমুল হুদা, এসিডি এরিয়া ইনচার্জ তারেক রহমান সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আব্বাস আলী/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।