বর্জ্য ও জলজট নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগ বিশেষ জরুরি


প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকা মহানগরীর বর্জ্য ও জলজট নিরসন করতে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ বিশেষ জরুরি। তিনি বলেন, বিভিন্ন দফতরের সাথে যাতে এ বিষয়ে সমন্বয়ের ঘাটতি না হয় সেই জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ঢাকা মহানগরীর সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মালেক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খান, ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থার ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কমিটি দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। প্রাথমিকভাবে বক্সকালভার্ট পরিষ্কার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আগামী মৌসুমের মধ্যে জলজট নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া ৫ বছর মেয়াদী স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ। এরমধ্যে রয়েছে অবৈধ খালগুলোর দখলমুক্ত করা। আর এই খালগুলোর দুই পাশে কংক্রিটের ঢালাই দেয়া- যাতে এটি আর দখল হতে না পারে।

মন্ত্রী আরও জানান, কমিটিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা ওয়াসা, রাজউক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিনিধি থাকবে। পাশাপাশি কমিটিতে স্থানীয় প্রতিনিধি অর্থাৎ নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর থাকবে। তারা প্রজেক্ট কমিটি করে খাল দখলমুক্ত ও ব্যবস্থাপনা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার রাখতে স্থায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে তিনি জানান।

মন্ত্রী বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কার্যক্রম শুরু করবে। তাদের কাজের অগ্রগতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনো খালই কেউ দখল করে রাখতে পারবে না। কারণ রাজনৈতিক নেতাদের এ কমিটিতে রাখা হচ্ছে। তারাই দখলমুক্ত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এসএ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।