সেই সিলেটই অলআউট ৫৯ রানে


প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫

বরিশাল বুলসকে ৫৮ রানে অলআউট করে দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল সিলেট সুপার স্টারস। অধিনায়ক পরিবর্তণ করে আফ্রিদিকে দায়িত্ব দেয়ার পর মনে করা হয়েছিল ভাগ্যেরও সম্ভবত পরিবর্তণ ঘটে গেছে সিলেটের; কিন্তু সেটা যে নিতান্তই এক ম্যাচের জন্য, তা বোঝা যাচ্ছে পরের ম্যাচে এসে।

মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সেই সিলেটই অলআউট হয়ে গেলো মাত্র ৫৯ রানে। ১১.৫ ওভার ব্যাট করে আরাফাত সানি আর সাকিব আল হাসানের মায়াবি ঘূর্ণিতে পড়ে দিকভ্রান্ত হয়ে যায় সিলেট। সঙ্গে উইকেট উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন আফগান বোলার মোহাম্মদ নবিও। ৪ উইকেট নেন আরাফাত সানি। তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি এবং ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। বাকিটা পকেটে পোরেন লংকান বোলার থিসারা পেরেরা।

বরিশালকে যে লজ্জায় ডুবিয়েছিল (বিপিএলে সর্বনিম্ন রানের স্কোর) সে একই লজ্জায় নিজেরাও ডুবতে যাচ্ছিল সিলেট। এক সময় তো দেখা যাচ্ছিল, সিলেটই হয়তো সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা গড়ে বসবে। কিন্তু পাকিস্তানি সোহেল তানভির ১৭ বলে ২০ রান করে সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে দিল মুশফিক-আফ্রিদিদের দলকে। একমাত্র সোহেল তানভিরই দেখা পেয়েছেন দুই অংকের। বাকিদের রান পাশাপাশি বসালে একটা টেলিফোন নাম্বারই হয়ে যাবে।

সিলেট সুপার স্টারস নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এসে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হলো জয়ের লক্ষ্যেই। কারণ, শেষ চারের সম্ভাবনা ধরে রাখতে হলে এই ম্যাচে জয়ছাড়া বিকল্প নেই। অপরদিকে সিলেটের বিপক্ষে জয় পেলে শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে রংপুর রাইডার্সের।

এমনই এক পরিস্থিতিতে মুখোমুখি দুই দল এবং শুরুতেই টস ভাগ্যে জয় হয়েছে রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। তিনি ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানান সিলেটের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে। আমন্ত্রণ পেয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মহাবিপর্যয়ে সিলেট।

রংপুরের স্পিনার আরাফাত সানি আর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি তোপে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। ৩০ রানেই তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট। একটি নিশ্চিত ক্যাচ ড্রপ না হলে তো ততক্ষণে ৭ উইকেটের পতন ঘটতো সিলেটের।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দিলশান মুনাভিরার উইকেট তুলে নেন আরাফাত সানি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান রংপুরের এই স্পিনার। ইনিংসের তৃতীয় এবং সানির দ্বিতীয় ওভারে তাকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আগের ম্যাচের সেরা জুনায়েদ সিদ্দিকী।

আরাফাত সানির আগ্রাসীরূপ তখনও অব্যাহত। নিজের তৃতীয় ওভারে এসেই তিনি তুলে নিলেন সিলেটের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের উইকেট। ১০ বলে ৯ রান করে ফিরে যান মুশফিক। আরাফাত সানির সঙ্গে উইকেট উৎসবে মাতেন সাকিব আল হাসানও।

৬ষ্ঠ ওভারেই নুরুল হাসানকে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব। ৮ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর মাঠে আসেন আফ্রিদি। টি২০’র অন্যতম বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান তিনি। তার ওপর সিলেটের অনেক ভরসা। কিন্তু তিন বলে একটি মাত্র বাউন্ডারি মেরে সাকিবের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে গেলেন তিনিও।

দলের রান তখন ৫ উইকেটে ২৯। এরপর মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন মিলন। আরাফাত সানির আগ্রাসনের মুখ থেকে বাঁচতে পারলেন না তিনিও। কোন রান না করেই তিনি বোল্ড হয়ে গেলেন। দলীয় রান তখন ৩০। এরপর রবি বোপারার সঙ্গে জুটি বাধেন সোহেল তানভির। ৮ রানের জুটি গড়ার পর শ্রীলংকান থিসারা পেরেরার বলে এলবির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন বোপারাও। ১০ বলে ৫ রান করেন তিনি। এরপর মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হয়ে গেলেন আবদুর রাজ্জাকও।

সোহেল তানভির কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এ সময়। ১৭ বলে ১ বাউন্ডারি এবং ছক্কায় ২০ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন রুবেল হোসেন। ফলে ১১.৫ ওভারেই ৫৯ রানে অলআউট হয়ে গেলো সিলেট।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।