দারুণ খুশি মুস্তাফিজ


প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

গত বছর অক্টোবর থেকে হিসাবটা শুরু। এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বর্ষসেরা একাদশ গঠন করে আইসিসি। মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ারই শুরু হয়েছে আইসিসির নির্ধারিত হিসাবের প্রায় সাত মাস পর, গত এপ্রিলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টেয়েন্টি অভিষেক প্রথমে। এপ্রিলে এসে ওয়ানডে অভিষেক। বাকি গল্পটা স্বপ্নের মত। তর তর করে এগিয়েছে মুস্তাফির গল্পের ধারাটা।

অভিষেকের পর থেকে ক্যারিয়ারে মাত্র নয়টি ওয়ানডে খেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে ক্যারিয়ারের এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। ভারত বধের একক নায়ক দারুণ সাহায্য করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিন ওয়ানডে সিরিজ জয়েও। সেই স্বীকৃতিই পেলেন আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা করে নিয়ে। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে এই অর্জনে দারুণ খুশি এই তরুণ পেসার।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর ঢাকা ডাইনামাইটসের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুস্তাফিজ। স্বভাব সুলভ স্মিত হাসি উপহার দিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে নামার আগেই খবরটা শুনেছি। তখন সবাই এসে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বলল তুমি আইসিসির ১১ জনের দলে আছ। তখন আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমার দেশ থেকে আমিই প্রথম।’

এত বড় অর্জনের পরেও মাটিতেই পা রয়েছে সাৎক্ষীরা এক্সপ্রেসের। নিজেকে অনেক ছোট হিসাবেই ভাবেন তিনি। তবে বিশ্বের বড় বড় ক্রিকেটারদের নামের সঙ্গে নিজের নাম থাকায় খুশির মাত্রাটা একটু বেশিই কাটার মাস্টারের, ‘বেশি খুশি হওয়ারই কথা। ওয়ানডেতে আমি বিশ্বসেরা ১১ জনের ভেতরে। আর ওখানে বড় বড় খেলোয়াড়রা আছেন। এজন্য বেশি ভালো লাগছে।’

দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই ভালো খেলার চিন্তা ছিল বলে জানান মুস্তাফিজ। এখনও তার একটাই লক্ষ্য, ভালো বোলিং করার এবং দেশের হয়ে আরও কিছু অর্জন করার। আগামীতে দেশের জার্সিতে আরও বড় অবদান রাখার আশা করেন মুস্তাফিজ।  

প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা আইসিসির ওয়ানডে দলে মুস্তাফিজ প্রথম হলেও আইসিসির তালিকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি মুস্তাফিজ। এর আগে ২০০৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট দলে জায়গা করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

আরটি/আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।