হারের বৃত্তেই চিটাগাং ভাইকিংস


প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫

ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে এসেও ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্তেই রয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। বরিশাল বুলসের কাছে ৩৩ রানে হারের পর এদিন রংপুর রাইডার্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বন্দর নগরীর দলটি। নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়লো দলটি। ফলে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছে তামিমবাহিনী। অপরদিকে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তনে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের ধারায় ফিরে আসলো রংপুর রাইডার্স।

এদিন শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল চিটাগাং ভাইকিংস। আঁটসাঁট বোলিং করে মাত্র ১১১ রানে দলটিকে বেঁধে ফেলে সাকিবরা। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই রান তাড়া করতে তেমন কোন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়নি তাদের। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার এবং জহিরুল ইসলাম শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান।

চিটাগাং ভাইকিংসের দেওয়া ১১২ রান তাড়া করতে নেমে ওভারে জয় নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। এদিন নিজের খারাপ সময় ফেলে ফর্মে ফিরে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সৌম্য সরকার। ৫৬ বলে ৮টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। কম যাননি জহিরুল ইসলাম অমিও। ওপেনিং করার সুযোগ পেয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৪৪ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।

দলীয় ১০২ রানে রংপুর শিবিরে শফিউল ভাইকিংসের হয়ে একমাত্র আঘাত করেন। তামিম ইকবালের ক্যাচে পরিণত করে অমিকে ফেরালে দশ উইকেটের লজ্জার হার থেকে মুক্তি পায় দলটি। অমির বিদায়ের পর অধিনায়ক সাকিবকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন সৌম্য। ১৬.৫ বলে প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়েন তারা।

এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটিংয়ে সূচনাটা ভালোই পায় চিটাগাং ভাইকিংস। ওপেনিং জুটিতে ৩৯ রান করেন দুই ওপেনার তিলকারাত্নে দিলশান এবং তামিম ইকবাল। ৮.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তোলার পর শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১১ রানে থামে চিটাগাং ভাইকিংস।

এরপর আগের দিনে বিতর্কিত আউট হওয়া কামরান আকমল এদিন ১টি ছক্কা এবং ১টি চার মেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করলেও আরেক দফা হতাশা উপহার দিয়েছেন দলকে। ব্যর্থ হয়েছেন ভাইদের ছোট ভাই ওমর আকমলও। আগের দিন পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলে আসা এই ব্যাটসম্যান ৮ বলে মাত্র ১ রান করে সাকিবের বলে আউট হন।

দলের সর্বোচ্চ রান আসে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে। নিজের স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিং করে এদিন শুরু থেকেই ধীর স্থির ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। ৪৩ বল মোকাবেলা করে ২টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেন এই ওপেনার। এছাড়া দিলশান ১৮, নাঈম ১৬ এবং বিজয় ১৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং ভাইকিংস।

রংপুর রাইডার্সের পক্ষে ১৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। আরাফাত সানি ২৮ রানে ২টি উইকেটে পান। এছাড়া নবী, পেরেরা এবং সজীব ১টি করে উইকেট নেন।

আরটি/এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।