পৌর নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ চান এমপি-মন্ত্রীরা


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

পৌরসভা নির্বাচনে সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রীরা এবং সরকারি সুবিধাভোগীরা প্রচারণা চালানোর সুযোগ চান। এ নিয়ে নানামুখী চাপে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনকি এ চাপের কাছে নতিস্বীকার করে এ বিষয়ে বৈঠকও করে ইসি। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দলীয় পরিচয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে মাঠপর্যায়ে নিজেদের কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদরা। কর্তৃত্ব ধরে রাখতে তারা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারে নামার সুযোগ চান। এজন্য তারা রোববার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেবেন। এর আগেও ক্ষমতাশীল দলের এমপি-মন্ত্রীরা এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে কমিশনারদের মধ্যে এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তবে অধিকাংশ নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করেছেন বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান। এর আগে খসড়া বিধিমালাতে ইসি নিজ উদ্যোগে এমপি-মন্ত্রীদের প্রচারণার সুযোগ রাখলেও আইন মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত ভোটিংয়ের সময় তা বাদ দেয়া হয়।  ফলে পরবর্তীতে মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগীদের প্রচারণার সুযোগ না রেখেই বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর বিধিমালা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। তারপরও মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি সুবিধাভোগীদের প্রচারণার সুযোগ দিতে বৃহস্পতিবার কয়েক দফা বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এ বৈঠক শেষ হয়েছে।

তারা আরো জানান, ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রার্থী বাছাই ও মনোনয়ন দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ায় আবার এ সুযোগ দিতে চাচ্ছে কমিশন। কারণ বর্তমান এমপি-মন্ত্রীরাই সাধারণত জেলা ও উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এলাকায় গিয়ে প্রার্থী বাছাই করতে তারা মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। এ কারণে সরকারি দলকে সুযোগ দিতে এ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে কমিশন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিশনারদের জরুরি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন কমিশনার আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর এখন আর বিধি সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। তারপরও কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে তারা এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে নোট দেবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক বলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো আইন-বিধি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এটা নিয়ে আলোচনা করাটাও যুক্তিযুক্ত নয়। তবে কোনো এমপি-মন্ত্রী বা সরকারি কোনো সুবিধাভোগী নির্বাচনী এলাকায় যেতে চাইলে মন্ত্রিত্ব বা সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিয়ে যেতে পারবে। তাতে কমিশন কোনো আপত্তি করবে না। কারণ নির্বাচন কমিশন আইনের বাইরে যেতে পারবে না।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩৬টি পৌরসভায় ভোট হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর।

এইচএস/জেডএইচ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।