সিলেটে পাকিস্তানি পতাকায় অগ্নিসংযোগ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। স্বাধীনতা চেতনা মঞ্চ ব্যানারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
যুদ্ধাপরাধী নিয়ে নিজেদের মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বনের অভিযোগে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় কয়েকটি কপিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের গায়েবানা জানাজার সংবাদে মুজাহিদের নামের আগে `শহীদ` বিশেষণ ব্যবহার করায় মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন।
মানববন্ধন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, পাকিস্তান সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা প্রমাণ করেছে, সাকা-মুজাহিদ পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলো। এরা ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানী হানাদারদের সঙ্গে মিলে গণহত্যা, ঘরবাড়িতে আগুন ও মা বোনদের ধর্ষণ করেছিলো তার প্রমাণ এদের বিচারে পাকিস্তানের বিরোধীতা।
পাকিস্তানকে নিজেদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামরান বলেন, আমাদের দেশেও অনেকে যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ আখ্যা দিচ্ছেন। তাদেরও সাবধান হতে হবে।
মানববন্ধনে সর্বোচ্চ আদালতে যে ব্যক্তিকে যুদ্ধাপরাধী সাবস্ত করে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সেই যুদ্ধাপরাধীকে বিশেষন দেয়া এক ধরণের অপরাধ। সিলেটের ডাক মুজাহিদকে ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে প্রমান করেছে তারা জামায়াত শিবিরের এজেন্ট। এদের বিচার করা প্রয়োজন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, মহানগর জাসদের সভাপতি অ্যাড. জাকির আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম নাদেল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান জামিল, সংস্কৃতি কর্মী আমিনুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর