কুমিল্লার টানা দ্বিতীয় জয়
বোলারদের দাপটে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখে আট উইকেটের জয় তুলে নেয় দলটি। প্রথম ম্যাচে হারের পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিলো মাশরাফিবাহিনী।
বরিশাল বুলসের দেয়া ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে ব্যাটিং করতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই বলের মেজাজ বুঝে খেলার চেষ্টা করেন।
বরিশালের হয়ে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আল-আমিন হোসেন। আগের ম্যাচে ১০৮ রান সংগ্রহ করেও হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট তুলে দুর্দান্ত জয় এনে দিয়েছিলেন এই পেসার। এদিনও দলের হয়ে প্রথম আঘাত হানেন তিনি। ইমরুল কায়েসকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান তিনি।
তবে ইমরুল ফিরে গেলেও ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলেন মাহমুদুল হাসান। স্যামুয়েলসের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথ অনেকটাই সহজ করে দেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। দলীয় ৬০ রানে কুপারের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটসম্যান। ৪৩ বলে ৩১ রান করেন মাহমুদুল।
মাহমুদুলের বিদায়ের পর শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করেন স্যামুয়েলস। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্যামুয়েলস ৩৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৩ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম।
বরিশালের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন কুপার এবং আল-আমিন।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল বুলস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে দলটি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সান্তোগির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া নুয়ান কুলাসেকেরা। শাহরিয়ার নাফীস এবং ব্র্যান্ডেন টেইলরকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান এই লঙ্কান।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রনি তালুকদার। কিন্তু দলীয় ২৭ রানের মাথায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে ফেরান বাংলাদেশের উদয়মান বোলার আবু হায়দার রনি। পরের ওভারে নিজের বলে নিজে ক্যাচ ধরে রনি তালুকদারকে সাজঘরে ফেরান এই তরুণ। ২২ বলে ১৭ রান করেন রনি।
এরপর দৃশ্যপটে আসেন আফাগানিস্তান থেকে উড়ে আশা আসহার জাইদি। ১২তম ওভারের প্রথম দুই বলে সাব্বির রহমান এবং সেকুগে প্রসন্নকে ফেরান এই স্পিনার। পরের ওভারে নাদিফ চৌধুরীকে তুলে নেন এই আফগানি। ফলে ৫৮ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল।
এরপর শেষ দিকে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন কেভিন কুপার। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে অল আউট হয় বরিশাল বুলস।
কুমিল্লার পক্ষে মাত্র ৮ রানে ৩টি উইকেট নেন নুয়ান কুলাসেকেরা। আসহার জাইদি ৩টি উইকেট পান ১৬ রানের বিনিময়ে। এছাড়া আবু হায়দার রনি পান ২টি উইকেট।
আরটি/বিএ