এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স
বরিশাল বুলসের দেওয়া ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় দুই ব্যাটসম্যানই বলের মেজাজ বুঝে খেলার চেষ্টা করছেন।
ইমরুল কায়েস আল-আমিনের বলে আউট হয়ে ফিরে গেলেও ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে দারুণ খেলছেন মাহমুদুল হাসান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুমিল্লার সংগ্রহ ৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৮ রান। মাহমুদুল ২২ এবং স্যামুয়েলস ২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বোলারদের দাপটে মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে গেছে বরিশাল বুলস। বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল বুলস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে দলটি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সান্তোগির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া নুয়ান কুলাসেকেরা। শাহরিয়ার নাফিস এবং ব্র্যান্ডেন টেইলরকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান এই লঙ্কান।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রনি তালুকদার। কিন্তু দলীয় ২৭ রানের মাথায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে ফেরান বাংলাদেশের নবীন উদয়মান বোলার আবু হায়দার রনি। পরের ওভারে নিজের বলে নিজে ক্যাচ ধরে রনি তালুকদারকে সাজঘরে ফেরান এই তরুণ। ২২ বলে ১৭ রান করেন রনি।
এরপর দৃশ্যপটে আসেন আফাগানিস্তান থেকে উড়ে আশা আসহার জাইদি। ১২তম ওভারের প্রথম দুই বলে সাব্বির রহমান এবং সেকুগে প্রসন্নকে ফেরান এর স্পিনার। পরের ওভারে নাদিফ চৌধুরীকে তুলে নেন এই আফগানী। ফলে ৫৮ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল।
এরপর শেষ দিকে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন কেভিন কুপার। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে অল আউট হয় বরিশাল বুলস।
কুমিল্লার পক্ষে মাত্র ৮ রানে ৩টি উইকেট নেন নুয়ান কুলাসেকেরা। আসহার জাইদি ৩টি উইকেট পান ১৬ রানের বিনিময়ে। এছাড়া আবু হায়দার রনি পান ২টি উইকেট।
আরটি/এসকেডি/পিআর