প্রার্থী বিপাকে আ.লীগ : মাঠ দখলে রাখতে চায় বিএনপি


প্রকাশিত: ০৬:৩৬ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর। এবারে দলীয়ভাবে নির্বাচন করার সরকারি সিদ্ধান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কুড়িগ্রামে নেতা-কর্মীরা। গত পৌর নির্বাচনের মতো এবারেও একাধিক প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে দলীয় কোন্দল মিটে যাওয়ায় মাঠ দখলে রাখতে চায় বিএনপি।  

এদিকে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে চায়ের দোকান, বাজারসহ প্রার্থীদের নিজস্ব কার্যালয়ে চলছে নির্বাচনী হওয়া।সেই সঙ্গে ভোটাদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে সরগরম পুরো পৌর এলাকা। আবার পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোটারদের মন জোগাতে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছেন অনেকেই।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় নেতাকর্মীরাও স্ব-স্ব প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রচার চালাচ্ছেন। দলীয় প্রতীকে পৌরসভার মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইদুল হাসান দুলাল, জেলা যুব লীগের আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান মেয়র ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক।

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা। এদের মধ্যে কাজিউল ইসলাম, সাইদুল হাসান দুলাল মনোনয়ন পেতে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও মনোনয়ন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকায় প্রার্থী দেয়ার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তবে জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবে নির্বাচন করতে না পারলেও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী থাকতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।  

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম বলেন, আমার প্রতি জনগণ আশানুরুপ সাড়া দিয়েছে। যেহেতু এবারেই প্রথম দলীয় ব্যানারে নির্বাচন হচ্ছে সে ক্ষেত্রে আশা করছি আমি মনোনয়ন পাবো।বর্তমান পৌর মেয়র নুর ইসলাম নুরু বলেন, মনোনয়নের বিষয়টি যাই হোক না কেন ব্যক্তি হিসেবে আমি নির্বাচনে ভোটারদের পাশে পাওয়ার আশা করছি। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করছে। উন্নয়ন গতিশীল করতে জেলার ৩ পৌরসভায় যোগ্য প্রার্থী দেবে আওয়ামী লীগ। সে লক্ষ্যে প্রার্থী মনোনয়নের প্রক্রিয়া চলছে। ভোটাররা উৎসব মূখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেবে।

জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব রেজাউল করিম রেজা জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে আমরা সিলেকশন করিনি। তবে সৎ ও ভাল নেতাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেব।    

কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী-ভুরুঙ্গামারী) আসনের সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলার তিন পৌরসভায় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী প্রায় চূড়ান্ত। নাগেশ্বরী পৌরসভার প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। খুব শিগগিরই বাকী দুই পৌরসভার প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।        
                        
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রানা জানান, বিএনপি ভোট করবে।  পৌরসভার প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। তবে ঘোষণা হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।  দল প্রার্থী হিসেবে যাকেই মনোনয়ন দেবে সকলেই তার জন্য কাজ করবো। সুষ্ঠু ভোট হলে বিএনপির প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবে।   
 
নাজমুল হোসেন/জেডএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।