চিটাগাং ভাইকিংসের সংগ্রহ ১৭৬


প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচেও দারুণ সংগ্রহ পেয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে তামিমের দল। এর আগের দুইটি ম্যাচেই ১৮০ এর উপর রান করেছিল চট্টগ্রামের দলটি।

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় চিটাগাং ভাইকিংস। উদ্বোধনী জুটিতে দিলশান এবং তামিম ৬৩ রান সংগ্রহ করেন।

ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন আসহার জাইদি। ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করে ফিরিয়েছেন ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা তিলকারাত্নে দিলশানকে। আউট হবার আগে ২১ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করেন।

প্রথম স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পর ভাইকিংস শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আসহার জাইদি। লং অফে মাহমুদুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করে তামিমকে ফেরান এই আফগানী। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশত তুলে নেয়ার পর এদিন ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৩১ বলে এই রান করতে ১টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

জাইদির জোড়া আঘাতের পর চামারা কাপুগেদেরাকে বোল্ড করে কুমিল্লাকে তৃতীয় সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর তরুণ ইয়াসির আলীকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়।

দলীয় ১২৩ রানে আঘাত হানেন ক্যারাবিয়ান স্পিনার সুনীল নারাইন। তরুণ ইয়াসির এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ১৮ বলে ২২ রান করেন ইয়াসির।

এরপর জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভাইকিংস। শেষদিকে মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রান করেন জিয়া। এই রান করতে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা মেরে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ৩০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।

কুমিল্লার পক্ষে ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন আসহার জাইদি। এছাড়া মাশরাফি এবং নারাইন ১টি করে উইকেট পান।

আরটি/এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।