টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বিকল, দুর্ভোগে ব্যবহারকারীরা


প্রকাশিত: ১০:৩০ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার একমাত্র ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি গত দুই মাস যাবৎ অচল রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫০০ লাইন বিশিষ্ট এ ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি অচল হয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে তা সচল হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার পৌর শহরসহ এ উপজেলায় ৪৫০ জন গ্রাহক থাকলেও বর্তমানে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতায় ২১২টি টেলিফোন সংযোগ লাইন চালু আছে তাও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। অদায়িত্বশীল সেবার কারণে গ্রাহকরা টেলিফোন ব্যবহার থেকে অনিহা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) গ্রাহকদের বহু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করলেও সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতিমাসে কমে যাচ্ছে এ এলাকার গ্রাহক। অপরদিকে সরকার প্রতিমাসে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত  হচ্ছে।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভিন জানান, প্রায় দেড়মাস যাবৎ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অচল থাকায় অফিসের জরুরি কাজে বিঘ্ন ঘটে। ভান্ডারিয়া পৌর টেলিফোন গ্রাহক ও ব্যবসায়ী বাচ্চু হাওলাদার জানান, দেশে এভাবে একটি প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস অচল থাকার পরও সরকার তাদের পিছনে হাজার হাজার টাকা গচ্চা দিচ্ছে কেন।

ভান্ডারিয়া পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আমি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় প্রকৌশলী জগদীশ মন্ডল সাংবাদিকদে বলেন, নিজস্ব কোনো সরবরহকারী, রিকোভারি লোক, টেকনিশিয়ান না থাকায় ভান্ডারিয়া এক্সচেঞ্জের মাদার বোর্ডের সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। এছাড়া বিটিসিএলের মাদার বোর্ড সংস্কার অথবা খোলার জন্য বরিশাল বিভাগেই কোনো টেকনিশিয়ান নেই যার কারণে এক্সচেঞ্জটির এ অবস্থা। তবে ২/১ সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা থেকে টেকনিশিয়ান আসলে এ সমস্যার সমাধান হবে। সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমস্যার কোনো সমাধান বা সমাধানের চেষ্টাও পরিলক্ষিত হয়নি।

হাসান মামুন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।