বরিশাল বুলসের শুভ সূচনা


প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং এবং কেভিন কুপারের বোলিং তোপে দারুণ জয় পেয়েছে বরিশাল বুলস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ১৩ রানে হারায় বরিশালের দলটি।

বরিশালের দেয়া ১৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর রাইডার্স। দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় রংপুরের। সামির বলে উইকেটরক্ষক টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ১৭ রান করেন জাতীয় দলের এই তারকা।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে অধিনায়ক সাকিবকে হারায় রংপুর। কুপারের বলে প্রসন্নর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। দলীয় ৬ রান যোগ করতে সিমন্সকে সামির ক্যাচে পরিণত করেন প্রসন্ন।

আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মিসবাহকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন কুপার। ফলে দারুণ চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬৮ রান যোগ করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।

দলীয় ১৩৪ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন পেরেরা। ১৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৭ রান করেন এই লঙ্কান। পেরেরা আউট হলে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মিঠুন। সামির বলে লং অনে প্রসন্নর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন মিঠুন। ৩২ বলে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান থিতু না হতে পারলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান করে থামে রংপুরের ইনিংস। বরিশাল বুলসের পক্ষে কুপার ১৫ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। সামি ৩৫ রানে ২টি উইকেট পান। এছাড়া প্রসন্ন পান ১টি উইকেট।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বরিশাল বুলস। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই থিসারা পেরেরার শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন রনি তালুকদার। উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিথুনের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন রনি (১)। একই ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে শাহরিয়ার নাফিসকে বিদায় করেন পেরেরা।

পরের ওভারে মোহাম্মদ মিথুনের গ্লাভসবন্দি করে ব্রেন্ডন টেইলরকে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। চতুর্থ ওভারে সাব্বিরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন পেরেরা। ফলে মাত্র ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে যায় বরিশালের দলটি।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে নাদিফ চৌধুরীকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন দলীয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৮২ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহের পথে নিয়ে যান। তবে ১৬তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে ওভারে ভয়ংকর হয়ে ওঠা দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দারুণভাবে রংপুরকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহ এবং নাদিফ দুইজনকেই পেরারার ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে তিনি এই রান করেন। নাদিফ ৩১ বলে ৩০ রান করেন। শেষ দিকে মোহাম্মদ সামি এবং কেভিন কুপারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৫ রান করে বরিশাল। সামি ৫ বলে ১৫ এবং কুপার ১৩ বলে ২১ রান করেন।

রংপুর রাইডার্সের পক্ষে ২৩ রানে ৩টি উইকেট নেন সাকিব। এছাড়া পেরেরাও ৩টি উইকেট নেন ২৯ রানে।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।