২০১৭ সালের মধ্যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ
টিআর, খাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদ, মন্দিরসহ যে সকল বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সেখানে সোলারপ্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের মধ্যে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা কন্টেন্ট ইন্টার অ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল ভার্সনে রূপান্তর শীর্ষক কর্মসূচি ‘ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ব্রাক ও সেভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি সহযোগিতায় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রাথমিকের বই ডিজিটাল করার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মসূচি এর আয়োজন করে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানের প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৮ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পায়। আগামী বছর থেকে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হবে। প্রাথমিকের সকল শিক্ষার্থীই বৃত্তি পাবে।
প্রাথমিকের বই ডিজিটাল কন্টেন্ট করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন নতুন যত পদ্ধতি আবিষ্কার করা হোক সবই আমরা নিতে চাই। একদম যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি আমাদের। তবে কন্টেন্টগুলো যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ লোভ্য এবং শিক্ষকদের আনন্দ উপযোগী করার পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে জনকল্যাণ ও একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল কন্টেন্টগুলোর মাধ্যমে শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত ও আধুনিক করতে কাজ করছে। ৩শ` লোক ২২ মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে কন্টেন্টগুলো তৈরি করেছেন। অনেক ত্রুটি থাকতে পারে তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি এই মুহুর্তে এটিই বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ কন্টেন্ট।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসংখ্যাকে কখনো সমস্যা মনে করেন না। তিনি সংসদে,মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ সব সময়ই বলেন, এমন নাগরিক গড়ে তুলতে হবে যারা আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। শিক্ষা শিশুর অধিকার এর সঙ্গে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০২১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেছবাহ উল আলম,আইসিটি সচিব মো. আকতার হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরেরর মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এনসিটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র পাল, ব্রাক শিক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র শিক্ষা উপদেষ্টা ম. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাল্টিমিডিয়ায় কর্মসূচির কার্যক্রম ও কন্টেন্ট উপস্থাপন করেন- সেভ দ্য চিলড্রেনের রুখসানা ও ব্রাকের বি এ ওয়াহিদ।
এনএম/এসকেডি/পিআর