বিপিএল যেন পাড়ার ক্রিকেট
নতুন স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। কিন্তু বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিপিএলকে। একের পর নাটক জন্ম দিয়ে এখন এ প্রতিযোগিতার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিপিএল গভর্নিং কমিটির নিয়ম যেন পাড়ার গলির কোন ক্রিকেট প্রতিযোগিতার নিয়ম।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট সুপারস্টারসের বিদেশি খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম নাটকীয়তা। সে নাটক শেষ না হতে হতেই হয়েছে একাদশ নিয়ে জটিলতা। এদিন ম্যাচের শুরুতে সিলেট সুপারস্টারস তিন জন ইংলিশ খেলোয়াড় ওয়াইজ শাহ, জশোয়া কব এবং রবি বোপারাকে খেলাতে চায়।
টসের আগে নিয়ম অনুযায়ী দলের একাদশের তালিকা প্রকাশ করতে হয়। সিলেট অধিনায়ক এবং ম্যানেজারের সাক্ষরবিহীন এক তালিকা প্রতিপক্ষকে দেয়। বিপিএলের বাইলজ অনুযায়ী একটি দলে কমপক্ষে চারজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলাতে হয়। কিন্তু দুই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ছাড়া অন্য খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র না থাকায় তাদের একাদশ সাজানো নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। যদিও শেষ মুহূর্তে তাদের অনাপত্তিপত্র বিপিএল গভর্নিং বোর্ডকে জমা দেয় সিলেট।
টসের নির্ধারিত সময়ের ২৬ মিনিট পর মাঠে আসে সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মাঠে তারা তালিকার বাইরের দুইজন খেলোয়াড়কে নামায়। চিটাগাং ভাইকিংস অধিনায়ক তামিম তার সতীর্থকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে অনাপত্তিপত্র না থাকা সিলেটের দুই খেলোয়াড় মাঠে দেখে অভিযোগ তোলেন এবং খেলতে অস্বীকৃতি জানান।
এই নিয়ে নানা নাটকের পর প্রায় অবশেষে একাদশের বাইরের দুই খেলোয়াড়কে ছাড়া মাঠে নামলে খেলতে সম্মত হয় চিটাগাং ভাইকিংস। আর এতে বিপিএলের বাইলজের আরও একটি নিয়ম ভাঙ্গা হয়। কারণ এদিন মাত্র দুই জন বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে মাঠে নামে সিলেট সুপারস্টারস।
উল্লেখ্য, প্রথম বিপিএলে সেমিফাইনাল নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিশাল নাটক। খেলোয়াড়দের পাওনা এবং ফিক্সিং কান্ডসহ নানা বিতর্ক ছড়িয়েছিল দ্বিতীয় আসরে।
আরটি/এমআর/পিআর