কপাল পুড়ল আর্সেনালের


প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৪

দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটের দুই গোলে আর্সেনালকে পরাজিত করে সোয়ানসি সিটি গতকাল দারুন এক জয় তুলে নিয়েছে। ঘরের মাঠ লিবার্টি স্টেডিয়ামে গানার্সনেদর ২-১ গোলে পরাজিত করে আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলকে টপকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে সোয়ানসি।

এর আগে ৬৩ মিনিটে এ্যালেক্সিস সানচেজের মৌসুমের ১২তম গোলে আর্সেনালই ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গিলফি সিগার্ডসন এবং বাফেটিমকি গোমিসের শেষ ১৫ মিনিটে দুই গোলে ওয়েঙ্গারের দলের পরাজয় মেনে নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না।

ঘরের মাঠে সপ্তাহের মাঝামাঝিতে এ্যান্ডারলেচের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কায় থাকা লন্ডনের ক্লাবটির অতি রক্ষানাত্মক কৌশল আরেকবার ব্যুমেরাং হয়ে দেখা দিল। কিন্তু এবার তো ড্রয়ের মাধ্যমে সান্তনাসূচক এক পয়েন্টও আসলো না।

সোয়ানসি অধিনায়ক এ্যাশলে উইলিয়ামস ম্যাচে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়লে তা ম্যানেজার গ্যারি মোনাকের জন্য দু:শ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু ওয়েলসের এই আন্তর্জাতিক ডিফেন্ডার কিছুক্ষন পরেই উঠে দাঁড়ালে স্বাগতিক সমর্থকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

ম্যাচের প্রথম ভাল একটি সুযোগ আসে নয় মিনিটে। এ্যালেক্স ওক্সালেড-চেম্বারলেইনের একটি প্রচেষ্টা জেফারসন মনটেরো বক্সের ভিতর থেকে নষ্ট করে দেন। সিগার্ডসনের ফ্রি-কিক ক্যালুম চেম্বার্স হেড দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন। হঠাৎ করেই আর্সেনাল ম্যাচে গতি হারিয়ে ফেরে। এই সুযোগে বলের পজিশন নিজেদের করে নেয় সোয়ানসি।

২২ মিনিটে বক্সের ভিতর উইলফ্রিড বনিকে চেম্বার্স ধাক্কা দেবার অপরাধে স্বাগতিকদের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারী ফির ডোড। প্রথমার্ধ শেষ হবার আগ মুহূর্তে আর্সেনালের হয়ে সানচেজ, ড্যানি ওয়েলবেক এবং ওক্সালেড-চেম্বারলেইন সোয়ানসি বক্সের ভিতর কিছুটা তৎপর হয়ে উঠলেও কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি।

ওয়েলবেকের শট আর্সেনালের সাবেক গোলরক্ষক লুকাস ফ্যাবিয়ানিস্কি দারুনভাবে রক্ষা করেন। ২৫ গজ দুর থেকে রামসের ভলি গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। বিরতির পরেও অবশ্য সোয়ানসির দূর্গে বেশ কয়েকটি আক্রমন চালিয়েছে আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। তবে আবারো সেই সানচেজ, ওক্সালেড-চেম্বারলেইনদের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়নি।

তৃতীয় হলুদ কার্ডের কারনে সোয়ানসি কিছুটা পরিশ্রান্ত হয়ে পড়লে আর্সেনাল জ্বলে উঠে। ৬৩ মিনিটে অবশেষে ডেডলক ভাঙ্গেন সানচেজ। অক্সালেড-চেম্বারলেইন এবং কাজোরলা সোয়ানসি রক্ষনভাগ ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়লে ওয়েলবেক বল পেয়ে সানচেজের দিকে বাড়িয়ে দেন। পোস্টের খুব কাছে থেকে ফ্যাবিয়ানাস্কিকে পরাস্ত করতে আর ভুল করেননি সানচেজ।


ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি। প্রায় ৩০ গজ দুর থেকে ৭৫ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে সিজিনসিকে পরাস্ত করে সমতা ফেরান সিগার্ডসন। দুই মিনিট পরে মোনটেরোর দূর্দান্ত ক্রস থেকে বদলী খেলোয়াড় গোমিস হেডের মাধ্যমে দলের জয় নিশ্চিত করলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।