অভিজ্ঞতায় ভরপুর সিলেট সুপারস্টারস
অভিজ্ঞতার বিকল্প হতে পারে কেবল অভিজ্ঞতাই। তারুন্যের জয়গান যতই গাওয়া হোক না কেন অভিজ্ঞতার মুল্যকে উপেক্ষা করার কোন উপায় নেই। ক্রিকেটের সর্বাধুনিক এই সংস্করণে অভিজ্ঞরা প্রমাণ করে এসেছেন নিজেদের প্রয়োজনীয়তা। অতি আগ্রাসী হয়ে পথ হারানো তরুণদের পথ দেখাতে যেমন জুড়ি নেই, তেমনি নিজের অভিজ্ঞতার ছোঁয়া দিয়ে বের করে আনতে পাড়েন তরুণদের সেরা খেলাটাকে। আর চলতি আসরে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েই দল গড়েছে সিলেট সুপারস্টারস।
দলে রয়েছেন বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হজ। টি-টোয়েন্টিতে সফল অভিজ্ঞ সোহেল তানভীর ও ইংল্যান্ডের রবি বোপারাও রয়েছেন এই তালিকায়। আর বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক ও মুশফিকুর রহিম জ্বলে উঠলে হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। আর এই অভিজ্ঞরা প্রত্যেকেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করেছেন।
দলে রয়েছেন বুম বুম খ্যাত পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির মত তারকা, যিনি একাই পারেন যে কোন দলকে ধসিয়ে দিতে। এই ফরম্যাটে নেতৃত্বও দিচ্ছেন পাকিস্তানকে। তবে সুপারস্টারসের নেতৃত্বভার কিন্তু আফ্রিদির কাঁধে নয়, সেটা সম্ভবত বর্তাবে টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কাঁধেই। কারণ, দলটির মালিকপক্ষ আগে থেকেই এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে শিবিরে ভেরাতে সচেষ্ট ছিলেন। আইকন ক্রিকেটারদের লটারির আগে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে মুশফিককেই চেয়েছিলেন তারা। লটারিতেও শেষ পর্যন্ত পূর্ণ হয়েছে তাদের চাওয়া।
নেতৃত্বের সঙ্গে গ্লাভসহাতে উইকেটের পেছনেও হয়তো দেখা যাবে মুশফিককেই। এ ছাড়া ব্যাটহাতে এই ডানহাতি দলের মিডল অর্ডারের বড় ভরসার নাম। মিডল অর্ডারে তার সঙ্গী হিসেবে ইংল্যান্ডের রবি বোপারা, নাজমুল হোসেন মিলনকে নিয়েছে সুপারস্টারস। টপ-মিডল অর্ডারে রয়েছেন জাতীয় দলে খেলা মুমিনুল হক সৌরভ।
এ ছাড়া বুড়ো ব্র্যাড হজ খেলতে পারেন যে কোনো পজিশনে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বেড়ানো হজ এই ফরম্যাটে দারুণ কার্যকর এক ক্রিকেটার। এ পর্যন্ত ২৪৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এই অস্ট্রেলিয়ানের বোলিংটাও কাজে দেবে প্রয়োজনে।
তবে পেস আক্রমণে দেশের দুই তারকা রুবেল হোসেন এবং মোহাম্মদ শহীদের সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান, আর পাকিস্তানের সোহেল তানভীরের বাঁহাতি পেস। স্পিনে অভিজ্ঞ রাজ্জাকের সঙ্গে আফ্রিদি এবং শ্রীলংকার বিস্ময় স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস থাকায় হজের বোলিংটার হয়তো দরকারই পড়বে না। বাঁহাতি স্পিনে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানাতে সিদ্ধহস্ত নাজমুল ইসলাম অপু। সব মিলে বোঝাই যাচ্ছে, ক্ষুরধার এক বোলিং আক্রমণ নিয়েই ময়দানী লড়াইয়ে নামবে সুপারস্টারস। ব্যাটিং লাইনআপও বেশ ব্যালেন্সড। ওপেনিংয়ে থাকছেন জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং মারমুখী ইংলিশ ব্যাটসম্যান জসোয়া কব। প্রয়োজনে টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নূরুল হাসানও।
সিলেট সুপারস্টারস দল
দেশি : মুশফিকুর রহিম (আইকন), রুবেল হোসেন, মুমিনুল হক, আবদুর রাজ্জাক, নূরুল হাসান, মোহাম্মদ শহীদ, নাজমুল ইসলাম অপু, জুনায়েদ সিদ্দিকি, নাজমুল হোসেন মিলন ও আবু সায়েম।
বিদেশি : শহীদ আফ্রিদি, রবি বোপারা, ব্র্যাড হজ, সোহেল তানভীর, ক্রিস জর্ডান, জসোয়া কব ও অজন্তা মেন্ডিস।
আরটি/এমআর/এমএস