কিছু ভিআইপি আইন মানতে চান না
কিছু ভি আই পি (অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) যাত্রী বিদেশি বিমানবন্দরে নিয়ম মানলেও দেশে এসে নিয়ম মানতে চান না বলে সংসদকে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। জাতীয় সংসদে রোববার ৩০০ বিধিতে সংসদে দেওয়া বিবৃতি দিয়ে একথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বেশকিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেলে এই সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা একটি গুরুপ্তপূর্ণ বিষয়। আর্ন্তজাতিক তথা জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপডেট করা হয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটি চলমান ব্যবস্থা।
মেনন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব পরিস্থিতি এ বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এছাড়াও সম্প্রতি রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনাসহ ফ্রান্স ও মালির সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সকলের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিমানমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ডিপারটিং কান্ট্রিকে সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হয়। বাংলাদেশ হতে শুধু বিমান নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোর যে সমস্ত উড়োজাহাজ বাংলাদেশ ত্যাগ করে সেগুলোকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত নিরাপত্তা বিষয়টি ডিপারটিং কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশের উপর বর্তায়।
এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সত্ত্বে এদেশে পর্যটক তথা বিদেশি নাগরিকদের আগমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারমধ্যে বিমানবন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন এয়ারলাইনস এবং বিভিন্ন যাত্রীগণ বিদেশি এয়ারপোর্টে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে চললেও কখনো কখনো অল্প সংখ্যক ভি আই পি যাত্রী এদেশের নিয়ম মানতে চান না।
তাদের সাথে আসা লোকজন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশ করতে ও বোডিং ব্রিজ এরিয়ার থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।
এক্ষেত্রে মন্ত্রী বিমানবন্দর এবং উড়োজাহাজের নিরাপত্তার জন্য অতীতের মতো সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।
এইচএস/এসকেডি/পিআর