লাইটারেজ জাহাজ চালকের লাশ উদ্ধার
এমভি কর্ণফুলি-৫ লাইটারেজ জাহাজের নিখোঁজ চালক নুর নেয়াজের লাশ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে নুর নেয়াজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো শেখ এনামুল হক মুকিত, আফছার পিয়াস, বাবুর্চিসহ নিখোঁজ রয়েছেন চার শ্রমিক।
অপরদিকে ঘটনার পর থেকে জাহাজের শ্রমিক শামীম হোসেন, টিটু ও শামীমের খালাতো ভাইসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় জাহাজের মালিক আবদুস সালাম জাহেদ বাদী হয়ে রোববার কমলনগর থানায় শ্রমিক শামীম হোসেন, পারভেজ, টিটু ও অজ্ঞাত শামীমের খালাত ভাইসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
উদ্ধারকৃত তিন শ্রমিকের মধ্যে পারভেজ হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। নিহত জাহাজের চালক নুর নেয়াজ মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার বালিডিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন খাঁন জানান, রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বাজারের মাছঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে রাতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
পরে কমলনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির ও রামগতি থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত দেড়টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়। জাহাজের মালিক লাশ দেখে শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সার বোঝাই কর্নফুলি লাইটারেজ জাহাজটি এবং তিন শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। জাহাজে প্রায় দেড় কোটি টাকার সার ছিল বলেও জানান পুলিশের কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন খান।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারে চট্রগ্রাম থেকে সার বোঝাই এমভি কর্ণফুলি-৫ লাইটারেজ জাহাজ নয়জন শ্রমিকসহ ১০জন লোক নিয়ে পাবনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। চট্রগ্রাম থেকে জাহাজটি ছাড়ার আগে জাহাজের শ্রমিক শামীম হোসেনের আত্মীয় পরিচয়ে এক ব্যক্তি জাহাজে উঠে। জাহাজটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চরআবদুল্লাহ এলাকায় পৌঁছলে জাহাজের শ্রমিক শামীম হোসেন ও টিটু এবং শামীমের আত্মীয় পরিচয় একজন মিলে জাহাজের চালক নেয়াজ হোসনকে জিম্মি করে। পরে জাহাজের শ্রমিক থাকার রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। ২/৩জন মিলে লাটি এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম মারধর করে সব শ্রমিককে বেঁধে রেখে জাহাজে থাকা মালামাল লুটে নেয়।