নিষিদ্ধ হতে পারে যৌথ প্রযোজনার ছবি ব্ল্যাক


প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৫

যৌথ প্রযোজনার নামে যৌথ প্রতারণায় অভিযুক্ত বিদ্যা সিনহা মিমের ‘ব্ল্যাক’ ছবিটিকে আটকে দিয়েছে তথ্যমন্ত্রণালয়। ছবিটি যৌথ প্রযেজানার সঠিক নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছে কি না এ বিষয় খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আপত্তিজনক কিছু পেলে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হতে পারে ছবিটি।

সম্প্রতি জাগো নিউজে ‘যৌথ প্রযোজনার ব্ল্যাক নিয়ে ব্ল্যাক আউট!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই যৌথ প্রযোজনার কোনো নিয়ম না মেনে তৈরি হওয়া কলকাতার রাজা চন্দ ও ঢাকার কিবরিয়া লিপুর যৌথ পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিটির দিকে মনযোগী হয় গণমাধ্যম। ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে প্রথমবারের মতো জুটি হয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় দুই তারকা কলকাতার সোহম এবং বাংলাদেশের মিম।

লবিংয়ের জোরে সেন্সর বোর্ডকে আজকাল হরহামেশাই ম্যানেজ হতে দেখা যাচ্ছে। তাই সেদিকে আর ভরসা করতে পারছেন না চলচ্চিত্র বিষয়ক সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টরা। স্বভাবতই গণমাধ্যমগুলো সম্প্রতি যৌথ প্রযোজনার ছবি নিয়ে সার্বিক বিবেচনার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিশেষ করে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ব্ল্যাক’ ছবিটির অনিয়ম ও প্রতারণা নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় ছবিটির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। ছবিটি যৌথ প্রযোজনার সঠিক যৌথ নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে কি না সেটা তদন্তে করতে মাঠে নেমেছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এদিকে ১৫ নভেম্বর সেন্সরবোর্ডে জমা পড়েছে যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘ব্ল্যাক’। মিম ও সোহম অভিনীত এ ছবিটির বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠেছে যৌথ-প্রযোজনার নীতিমালা মানছে না। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল তথ্যমন্ত্রণালয় ‘ব্ল্যাক’ ছবিটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার যুগ্ম সচিব গৌতম কে ঘোষ গণমাধ্যমে বলেন, ‘ব্ল্যাক’ ছবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে ছবিটিতে যৌথ প্রযোজনার বলা হলেও তা সঠিক নিয়ম মেনে নির্মিত হচ্ছে না। এ কারণে আমরা ছবিটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছি যে অভিযোগ সত্য কিনা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব এটিকে মুক্তি দেয়া যাবে কি না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন থেকে দুই দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ছবিগুলোর দিকে নজর দিবে সরকার। সঠিক নীতিমালা ও দেশের মর্যাদা বজায় থাকলেই যৌথ প্রযোজনার ছবি মুক্তি দেয়া হবে। অন্যথায় নয়।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড ছবিটি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। তদন্তে ‘ব্ল্যাক’ ছবিটি দোষী সাব্যস্ত হলে এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ হতে পারে। তাই আপাতত এই ছবি নিয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না সেন্সর বোর্ড।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।