মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা আপিলে বহাল


প্রকাশিত: ০৫:৫০ এএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬০ থেকে ৬৫ বছর করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় (কেবিনেটে) উপস্থাপনের জন্য হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এ সংক্রান্ত এক লিভ টু আপিলের নিষ্পত্তি করে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন। আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া।

২০০৬ সালের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ করতে আরেকটি রিট করেন জামাল উদ্দিন শিকদার। এ রিটের শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকার।

সোমবার সরকারের এ আবেদন খারিজ করে দেন বলে জানান আজহারুল্লাহ ভূঁইয়া। এখন রায় পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বয়স করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স কত রাখবেন।

২০০৬ সালের ১২ জুলাই এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৬৫ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই সময় বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়নি।

এরপর ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক অনুমোদনক্রমে সকলেল অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি প্রশাসনিক উন্নয়ন  সচিব কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়স ৬২ বছর ও সাধারণ চাকরিজীবীদের বয়স ৬০ বছরে করার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। কিন্তু
কোনো ধরনের নির্দেশনা ছাড়াই তা ফেরত আসে।

এরপর ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ‘গণকর্মচারী অবসর আইন ১৯৭৪’ সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এদিকে ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদারের এক রিটের প্রেক্ষিতে  মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর করা হয়।

এছাড়া ২০০৬ সালের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করতে আরেকটি রিট করেন জামাল উদ্দিন শিকদার। এ রিটের শুনানি শেষে গত ১৪ জানুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করার নির্দেশ দেন। আজ ওই আদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখেন।

এফএইচ/জেডএইচ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।