টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিততে চায় টাইগাররা
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিততে চায় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেই চলতি বছর সাফল্যের তালিকাটা আরো বড় করার লক্ষ্য মাশরাফি বাহিনীর। অন্যদিকে, প্রথম জয়ের স্বাদ নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করতে চাইবে জিম্বাবুয়ে। সফর ও দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-২০তে আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে রঙ্গিন পোশাকে বছর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেখানে বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো পারফরমেন্সই করেছিল টাইগাররা। ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। টাইগারদের শেষ আটে ওঠার তাৎপর্যটা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু সেটি আর বাড়তে দেয়নি ষড়যন্ত্র। আম্পায়াররা নায়ক হিসেবে থেকে শেষ আট থেকেই বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত করে ফেলেন। কিন্তু তাতে কী!!
প্রবাদ তো আছে, ‘সত্যের জয় হবেই।’ সেই জয় ঠিকই পেয়েছে বাংলাদেশ। হাতেগোনা কয়েকটি নয়। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলার টাইগারদের দাপটে সিরিজ জয়ে আনন্দ উল্লাসে মাতে ১৬ কোটি বাঙালি। পাকিস্তানকে হোয়াইওয়াশ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
বিশ্বসেরা দলগুলোকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামে বাংলাদেশ। তাই আত্মবিশ্বাসটা অনেক গুণ বেশিই ছিলো টাইগারদের। বাংলাদেশের ওই আত্মবিশ্বাসের কাছেই হেরে বসে জিম্বাবুয়ে। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ে বাংলাদেশ।
৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের তকমাটা সঙ্গে নিয়েই টি-২০ খেলতে নামে বাংলাদেশ। এখানেও একই চিত্রের বাংলাদেশকে দেখা যায়। দাপটের সঙ্গেই প্রথম টি-২০ ম্যাচ জিতে শুভ সূচনাই করে টাইগাররা। শুরু থেকেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। তাতেই ১৩১ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা।
তবে প্রতিপক্ষকে আরো কম রানে আটকে রাখতে পারতো স্বাগতিকরা। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি ম্যালকম ওয়ালারের দুর্ধর্ষ এক ইনিংসে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ৩১ বলে ৬৮ রানে আউট হয় ওয়ালার। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহের অর্ধেকের বেশি রান করেছেন তিনি।
এরপর তামিম ইকবাল-সাব্বির রহমান-নাসির হোসেন-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-লিটন কুমার-মাশরাফির ছোট ছোট ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ে খুশি হতে না পারলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে নতুন খেলোয়াড়দের আবারো পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে বলে জানালেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘চাপের মধ্যে নতুন খেলোয়াড়রা কীভাবে নিজেদের সামলাতে পারে সেটারই শেষ সুযোগ দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ।’ আর দ্বিতীয় ম্যাচে সববিভাগেই ভালো পারফরমেন্স করার ইচ্ছা পোষণ করলেন আগের ম্যাচের সেরা পারফর্মার ওয়ালার, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে স্কোর বোর্ডে অনেক বেশি রান করতে হবে। এরপর বোলিংটাও ভালো করতে হবে। এ ছাড়া শুরুটা ভালো করা জরুরি। তবে সাফল্য ধরা দেবে।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, এনামুল হক বিজয় ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড : এলটন চিগুমবুরা (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাব, চামু চিবাবা, টেন্ডাই চিসোরো, গ্রায়েম ক্রেমার, ক্রেইগ আরভিন, লুক জংবে, নেভিল মাদিভা, ওয়েলিংটস মাসাকাদজা, রিচমন্ড মুতুম্বামি, তরাই মুজারাবানি, জন নিউম্বু, তিনাশে পেনিয়াঙ্গারা, ম্যালকম ওয়ালার, সিন উইলিয়ামস।
বিএ