সখীপুরে পাঁকা সেতুর অভাবে ১০ গ্রামবাসী
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়া ও কাকড়াজান ইউনিয়নের সেতুর অভাবে যাতায়াতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০ গ্রামবাসী। ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে রয়েছে পারাপারের জন্য একটি সাঁকো। সাঁকোটির পরিবর্তে একটি পাকা সেতু নির্মাণ দশটি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি হলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সাঁকোটির স্থানে পাকা সেতু করার জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার প্রতিফলন ঘটেনি। যাতায়াতের এ ভোগান্তির ফলে সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় দেখা গেছে, কালিয়া ও কাকড়াজান ইউনিয়নের ওই সংযোগ সাঁকো দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে থাকে। ওইসব গ্রামের উৎপাদিত সবজি বেগুন, হলুদ, কলা, আদা, কচু, কড়লা, আম কাঁঠালসহ বিভিন্ন রবি শস্য নিয়ে যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়েন কৃষকরা। এ দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে প্রতিবছর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ওই সাঁকোটি নির্মাণ করে থাকেন। ভারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি নিয়ে মালামাল পারাপার করে থাকেন। ওই সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী গ্রামগুলো হলো, বড়বাঈদপাড়া, চনপাড়া, ঢনঢনিয়া, শিরিরচালা, রামখা, নওপাড়া, জিতেশ্বরী,বিন্নাখাইড়া,সাড়াশিয়া ও বাশারচালা।
কাকড়াজান ইউনিয়নের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বলেন, দুটি ইউনিয়নের সংযোগের সাঁকোটি পাকা করার দাবি রয়েছে আমাদের দীর্ঘ দিনের। সাঁকোটি পাকা হলে ওই দুটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের কৃষিজীবী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন সহায়তাসহ যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় চনপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর আলী (৬৫) বলেন, ওই সাঁকোটি দুটি ইউনিয়নের সীমানার মধ্যে পড়ায় এটি অবহেলার মধ্যে পড়ে গেছে। যার ফলে এর উন্নয়ন হচ্ছে না। এসময় তিনি আরও জানান, পাঁকা সেতু না থাকার ফলে প্রতি বর্ষায় সাঁকোর দুইপাশের মাটি ধসে পড়ে কাঁচা রাস্তাটিই বিলীন হতে বসেছে। সাঁকোটি নিয়ে সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মানস মণ্ডল বলেন, আমাদের সাঁকোটি পাঁকা করার ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে।
এমজেড/পিআর