টানা পঞ্চম সিরিজ জয়


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৫

জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার পর আবারও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েই টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ নিলো বাংলাদেশ।  দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইমরুল কায়েসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে ৫৮ রানের বড় জয় দিয়ে প্রাণ আপ সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা।

বাংলাদেশের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করে জিম্বাবুয়ে। প্রথম চার ওভারে দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ২২ রান সংগ্রহ করে। তবে আরাফাত সানি দলীয় পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান চাকাভেকে। পরের ওভারেই অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার বলে বোল্ড হয়ে যান শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা চামু চিবাভা। ম্যাসের সামান্য ইন সুইঙ্গার ধরণের বল ঠিক ভাবে খেলতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান এই জিম্বাবুইয়ান।

এরপর দ্রুত ফিরে যান শেন উইলিয়ামস ও গ্রেইগ আরভিন। তবে সিকান্দার রাজাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক চিগুম্বুরা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৭৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর এই দুই ব্যাটসম্যান দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। তবে সফরকারীদের সে স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আল আমিন।

pran৩৪তম ওভারে সিকান্দার রাজাকে ইমরুলের ক্যাচে পরিনত করে বাংলাদেশ দলকে আবার কক্ষপথে আনেন এই পেসার। ৪২ বলে ৩৩ রান করেন রাজা। নিজের পরের ওভারে ওভারে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে থার্ডম্যানে ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিনত করেন আল-আমিন। আউট হবার আগে ৭৭ বলে ২টি চার এবং ২টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।

এরপর মুস্তাফিজ ও নাসিরের বোলিং তোপে আর কোন ব্যাটসম্যান তেমন কোন রান না করতে পারলে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় জিমাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এছাড়া নাসির এবং আল-আমিন পান ২টি করে উইকেট।

এর আগে সোমবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ দলকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে। এদিন তামিম ইকবালের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামেন ইমরুল কায়েস। ইনিংসের সপ্তম ওভারে দলীয় ৩২ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে চিবাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম (১৯)। চার ওভার পর লিটন দাসকে (৭) হারায় বাংলাদেশ। ক্রেমারের করা ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ(৪)।

এরপর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান, দেশে সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইমরুল। তবে ২৮তম ওভারে ক্রেমারের বল ড্রাইভ করতে গেলে তা ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ডম্যানে চলে যায়। উড়ে আসা বল তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি জংউই। আউট হবার আগে ২৮ বলে ২১ রান করেন মুশফিক।

মুশফিকের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ইমরুল। শেন উইলিয়ামসের ফুলটস বল ঠিকভাবে সংযোগ না হওয়ায় ক্রেমারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হবার আগে দলের হয়ে মূল্যবান ৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন এই টাইগার। ৮৯ বলে ৬টি চার এবং ৪টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

ইমরুলের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন সাব্বির রহমান এবং নাসির হোসেন। তবে দলীয় ১৯৩ রানে জংউইর আফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। ৪০ বল মোকাবেলা করে ৩৩ রান করেন এই নবীন তারকা। এরপর অধিনায়ক মাশরাফি ১৩ রান যোগ করে মুজারাবানির বলে বিদায় নেন।

এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান নাসির। তবে মিড উইকেটের উপর দিয়ে সিমানা পার করতে গিয়ে আরভিনের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় সে স্বপ্ন। ৫৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪২ রান করেন নাসির। শেষদিকে আর কেউ রান করতে না পারলে ২৪১ এ শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ৪১ রানে। এছাড়া মুজারাবানি ও ক্রেমার ২টি উইকেট পান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াঙ্গারা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ৪১ রানে। এছাড়া মুজারাবানি ও ক্রেমার ২টি উইকেট পান।

আরটি/এমআর/আরআইপি

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।