পরিসংখ্যানেও এগিয়ে বাংলাদেশ
রঙিন পোশাকে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াইটা ক্রিকেটের ইতিহাসে খুব বেশি পুরোনো না হলেও, বাংলাদেশের জন্য তা অবশ্যই পুরোনো। ওয়ানডেতে এ দুই দলের পরিসংখ্যানের পাতাটা লেখা শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসেবে প্রথম দিকে জিম্বাবুইয়ানরা ছড়ি ঘোরালেও সময়ের সাথে সাথে জয়ের পাল্লাটা ভারী করেছে টাইগাররা। দু`দলের ওয়ানডে পরিসংখ্যানের বিস্তারিত দেখে নেয়া যাক।
জিম্বাবুয়ের সাথে এখন পর্যন্ত মুখোমুখি লড়াইয়ে ৬৪ ম্যাচের ৩৬টি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর, বাকি ২৮টি ম্যাচে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকায় ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের করা ৩২৪ রানের স্কোরটিই রয়েছে সবার ওপরে। আর, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিলো ঐ একই ভেন্যুতে করা ৮ উইকেটে ৩২০ রান।
দু`দলের ব্যাটিং পারফরমেন্সের দিক থেকে অবশ্য শীর্ষস্থানটি বাংলাদেশেরই। এ পর্যন্ত ৪২ টি ম্যাচ খেলে ৩ টি সেঞ্চুরিসহ ১৩শ` রান করা সাকিব আল হাসান রয়েছেন সবার ওপরে। এরপরই রয়েছেন ৪৫ ম্যাচে ১১শ` ৯৮ রান করা জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর। তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ২টি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৪৭ ম্যাচে ১১শ` ৩২ রান করা আরেক জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাদজা।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়ের শীর্ষস্থানটিও টাইগারদের হয়ে দখলে রেখেছেন সাকিব। ২২ দশমিক ৮২ গড়ে তার সংগ্রহ ৬৩টি উইকেট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ৩২ ম্যাচে ৫৬ উইকেট শিকারী টাইগার স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। আর, টাইগারদের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ৩৪ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়ে রয়েছেন তালিকার তৃতীয় স্থানে।
ওয়ানডেতে বর্তমান বছরের সাফল্যের হিসেবে বাংলাদেশের ধারে-কাছে নেই জিম্বাবুয়ে। ২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত ১৬ টি ম্যাচে ১০টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র ৫টি ম্যাচে। বাকি ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও বাংলাদেশের সাফল্যের হার এক্ষেত্রে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে, ২৩ ম্যাচে ৮টি জয় ও ১৪টি হার নিয়ে বেশ হতাশাগ্রস্ত অবস্থাতেই আছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সাফল্যের হার মাত্র ৩৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
তবে সব হিসাব-নিকাশের বাইরে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের মাঠের পারফরমেন্স দেখতে মুখিয়ে রয়েছে এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টায়।
এমআর/এমএস