কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে যান চলাচল বন্ধ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে ৬ ঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনা পেট্টোলিয়ামের তেলবাহী ট্যাংকারের সঙ্গে সেভেন রিং সিমেন্টের একটি কভার্ড ভ্যানের সংর্ঘষের কারণে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়।
এতে দুই পাশের হাজার হাজার যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। কেউ কেউ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কোন কোন যাত্রীরা রাস্তায় বসে অপেক্ষা করছেন। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই সড়কের দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ীগুলো র্যাকারের মাধ্যমে সরানোর চেষ্ঠা করছে।
সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানার ট্রাক চালক ওবায়দুল (৩৫) জানান, টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জের মূলগাঁও সেভেন রিং কারখানার ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-উ-১১-১৮১৫) কারখানায় যাওয়ার পথে উপজেলার কামারবাড়ী এলাকায় বিপরীত দিকে ঘোড়াশাল থেকে যমুনার তেলবাহী ট্র্যাংক (নারায়ণগঞ্জ-ঢ-৪১-০০০৭) এর চাকার সাথে সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, পেছন দিক থেকে আসা ঘোড়াশালগামী একটি কভার্ডভ্যান (যশোর-ট-১১-৩৩৫৭) সেভেন রিং সিমেন্ট কারখানার গাড়ীকে আঘাত করে। তিনি আরো জানান, ঘটনার পর থেকে তিনটি গাড়ীই ওই সড়কে পড়েছিল। এতে দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা যানজট লেগে যায়।
সিলেটগামী এনা পরিবহনের যাত্রী সৈয়দ মারুফ আহমেদ জানান, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে চলতে গিয়ে প্রায়ই দেখি এই সড়কে কোননা কোন দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তাটি অতিরিক্ত অপ্রশস্থ হওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আর এতে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সব-সময় উদাসীন। তারা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না এই সড়কটির জন্য। এই সড়ককে যে পরিমাণে যানবাহনের চাপ তাকে সড়কটি আরো কমপক্ষে ১০০ ফিট প্রশস্থ হওয়া দরকার। এতে কোন করাণে দুর্ঘটনা ঘটলেও যাত্রীরা দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে।
কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল সড়কে যান চলাচল বন্ধের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে গাজীপুর থেকে র্যাকার এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্ঠা চলছে।
তিনি বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রতিবেদককে জানান, ট্র্যাংকটির তেলভর্তি হওয়ার কারণে যান চলাচল স্বাভাবিক এখনো হচ্ছে না। খালি ট্র্যাংক খবর দেওয়া হয়েছে ওই ট্র্যাংকটি এলে তেল আনলোড করে রাস্তায় পড়ে থাকা তেলবাহী ট্র্যাংকটি সরাতে হবে। আর এতে কতক্ষণ লাগবে তা বলা যাচ্ছে না।
আব্দুর রহমান আরমান/এসকেডি/এমএস