ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি : দুইজনকে কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক দুই জনকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়াত মেহজাবীন এ সাজা ঘোষণা করেন।
শুক্রবার বিকেলে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রবিউল ইসলাম। তবে কত ধারায় এ সাজা দেয়া হয়েছে তা জানাতে পারেন নি তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন : আব্দুস সালাম এবং জোবায়দুল ইসলাম। আব্দুস সালামকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর গভমেন্ট ভয়েজ স্কুল থেকে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে আটক করা হয়েছে। আর জোবায়দুল ইসলামকে মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আটক করা হয়। দুইজনই ভর্তি পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্তর নিচ্ছিলেন।
এর আগে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সময় আটক হাসিবুল হাসান শামুকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০এর ৯(খ) ধারায় ২ বছরের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার কাছে একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস পাওয়া যায়।
এদিকে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দুই জনের একই রোল থাকার অপরাধে আটক করে কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রযুক্তিগত কোন ধরণের ত্রুটি থাকতে পারে বলে অভিযুক্তের দাবি। তারপরও ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
কিন্তু এর চেয়ে বড় অপরাধ মোবাইলসহ আটক করা হলেও এদের সাজা কম হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে সহকারী প্রক্টর মো. রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটি হচ্ছে আইনের বিষয়। ম্যাজিস্ট্রেট তার আইন অনুযায়ী সাজা নির্ধারণ করেছেন। তবে আগের সাজাগুলোর সাথে কিছুটা তপাৎ মনে হলেও এটি আইনের বিষয়। এনিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিচারকদের দৃষ্টিকোণে যা বিবেচিত হয় তাই তারা করে থাকেন। আর আগের সাজাগুলো ভিন্ন ভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছেন।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমাজাদ আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমএইচ/এসকেডি/এমএস