শামছুদ্দিন ও নাসির সাত-আট জনকে হত্যা করে : সাক্ষী
শামছুদ্দিন, নাসিরসহ রাজাকাররা কিশোরগঞ্জ জেলার বিদ্যানগর গ্রামের সাত-আট জন লোককে হত্যা করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি পেশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী গোলাম মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম আনোয়ারুল হকের নের্তৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই জবানবন্দি পেশ করেন তিনি।
এসময় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে, সাক্ষীদেরকে জেরা করেন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে নিয়োজিত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।
এদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বারের আইনজীবী মো. শামসুদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের তৃতীয় সাক্ষী গোলাম মোস্তফা ও চতুর্থ সাক্ষী মো. আক্কাসের জাবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
গোলাম মোস্তফা বলেন, একাত্তরের ১২ নভেম্বর শামছুদ্দিন, নাসির, গাজী মো. মান্নানসহ ২০/২৫ জন রাজাকার বিদ্যানগর গ্রামে হামলা চালায়। এসময় তারা ওই গ্রামের ৭/৮ জন লোককে হত্যা করে। যাদেরকে হত্যা করা হয় তাদের মধ্যে ছিল চান্দু ও বারেক।
চতুর্থ সাক্ষী মো. আক্কাস বলেন, আসামি এটিএম নাসিরসহ ১০/১২ জন রাজাকার আমার চাচা মিয়া হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে। একাত্তরের ১২ নভেম্বর ৭০/৮০ জন রাজাকার আয়লা, বিদ্যানগর, ফতুরগোপ, কিরাটন গ্রামে আক্রমণ করে। এবং তারা এলােপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে ৭/৮ জন লোক গুলিবিদ্ধ হয়। এবং পরবর্তীতে আমরা তাদের লাশ দাফন করি। আসামি শামছুদ্দিনকে সাক্ষীরা ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শনাক্ত করেন।
এর আগে এই মামলায় প্রসিকিউশনের আরো দুজন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন। পরে আইনজীবীরা তাদেরকে জেরা করেন। সাক্ষী গ্রহণ শেষে মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করা হবে। যুক্তি খণ্ডণ করার পরে মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে রায় ঘোষণা করা হবে।
এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি