ঈশ্বরদীতে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কোটি টাকার শিম


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম সবজির বাজার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি বাজার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত এ বাজারে প্রতিদিন আড়াই কোটি টাকার শিম বেচাকেনা হচ্ছে। আর এ কেনাবেচা চলে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।

সরেজমিনে মুলাডুলি শিমের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, আড়তের পুরো জায়গায় ক্রয়কৃত শিম স্তুপ করে রাখা হয়েছে। পাহাড় ছুঁই-ছুঁই এ সকল স্তুপে আছে শত শত মণ শিম। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের এলাকায়ও আড়তের বৈশিষ্ট্যের কোনো মিল নেই। অন্যান্য এলাকার আড়ত সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে বসলেও মুলাডুলির শিমের আড়ত বসে সপ্তাহে সাতদিনই।

হাটের আড়তদারসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিদিন এই হাট থেকে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক শিম বাজারজাত করা হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে এই সব শিম। বর্তমানে এই আড়তে প্রতি ট্রাক শিম ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ১ হাজার থেকে ১১শ’ টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে শিম। প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি টাকার শিম ক্রয়-বিক্রয় হয় এই মুলাডুলি আড়তে।

Bean

শিম চাষ করে একটি এলাকার মানুষের ভাগ্য বদল করে দিতে পারে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শুধুমাত্র শিম চাষ করে লাখপতি হয়েছেন এমন মানুষ শুধু মুলাডুলিতেই রয়েছে শতাধিক। এক হিসেবে জানা গেছে, শুধু ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আটঘরিয়া, বড়াইগ্রাম ও লালপুরের প্রায় ২৪ হাজার মানুষ এই শিম চাষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

মুলাডুলির সফল শিম চাষি আমিনুর রহমান বাবু ওরফে শিম বাবু জানান, এই আড়ত থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০-৮০ ট্রাক শিম বাজারজাত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। শিম কেনা-বেচার কাজে মুলাডুলি সবজি আড়তে প্রতিদিন ১২‘শ শ্রমিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিম চাষি জানান, তারা শিম বিক্রি করতে গেলে প্রতি মণে আড়তদাররা ২ থেকে ৩ কেজি ধলতা হিসেবে কেটে রাখেন। এর প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। এছাড়া রয়েছে মণে ১০ টাকা করে চাঁদা। এ সকল কাজের জন্য শক্তিশালী একটি চক্র গড়ে উঠেছে হাট এলাকায়।

অভিযোগগুলো সম্পর্কে মুলাডুলি হাটের আড়তদার খালেক জোয়ার্দার বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। মণে ৪ টাকা টোল আদায় করেন হাট ইজারাদার যা বৈধ। এছাড়া কোনো চাঁদা নেয়া হয় না।

এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।