উপমন্ত্রী জয়ের তাণ্ডব
যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারে নিজের নাম না থাকায় নিজ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের রুম ভাংচুর করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে কম্পিউটার ফেলে দেন। ছুড়ে ফেলেন টেবিলে থাকা ফাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। রোববার দুপুরে তিনি এ তাণ্ডব চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে উপমন্ত্রী দেখেন ব্যানারে তার নাম নেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান রাসেল এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব নুর মোহাম্মদের অনুরোধে আরিফ খান জয় আবার ফিরে আসেন।
যুব দিবস উপলক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়ার সময় আবারও অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। সোজা চলে যান মন্ত্রণালয়ে। সেখান যুব উন্নয়ন অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব মাসুক মিয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন। ব্যানারে নাম না থাকার পেছনে মাসুক মিয়া দায়ী মনে করে তার টেবিলে থাকা কম্পিউটারসহ ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলেন। অবশ্য এ সময় মাসুক মিয়া তার কক্ষে ছিলেন না।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব নূর মোহাম্মদ বলেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। একজন কেবিনেট সদস্যের কাছে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। অভিযোগ অস্বীকার করে আরিফ খান জয় বলেন, যুগ্ম সচিবের রুমে কম্পিউটার ও ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলার প্রশ্নই উঠে না। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ১৮ মাস ধরে মন্ত্রণালয়ে তিনি নানাভাবে বঞ্চিত। তার কোনো পিএস- এপিএস নেই। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিয়ে তার কাজ চালাতে হয়।
জয় আরো বলেন, উন্নয়নকাজের ফাইল তার কাছে না দিয়েই প্রতিমন্ত্রী একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কোনো অনুষ্ঠানে ব্যানারে তার নাম দেওয়া হয় না। এটি বারবার প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আনলে তিনি কর্ণপাত করেননি। রোববার যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানারেও তার নাম ছিল না। ব্যাপারটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরে এলে তারা প্রতিবাদ করেছেন। এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলেননি বলে তিনি দাবি করেন।
সূত্র জানায়, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ঠাণ্ডা লড়াই চলছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীর মধ্যে। দু’জনের মধ্যকার এ লড়াইয়ে ওষ্ঠাগত অবস্থা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।
জেডএইচ/এমএস