জাতীয় প্রেস ক্লাব হবে প্রকৃত সাংবাদিকদের আবাসস্থল
জাতীয় প্রেস ক্লাব হবে প্রকৃত সাংবাদিকদের আবাসস্থল। এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৬১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালিত হয়। নবীন-প্রবীণ সদস্যদের সরব উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গন। অন্যান্য বছরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের চেয়ে এবারের অনুষ্ঠান ছিল কিছুটা ভিন্ন।
বর্তমান কমিটির আমলে প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৭০ জনকে সদস্যপদ দেয়া হয়। তাদের প্রায় সবাই সস্ত্রীক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপস্থিতি অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয় গোটা প্রেস ক্লাব। রংবেরংয়ের বেলুন দিয়ে প্রেস ক্লাব ভবন ও মিলনায়তনের সামনে তোরণ তৈরি করা হয়।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বিশাল আকারের কেক কেটে ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। কেক কাটার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বর্তমান সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রবীণ সদস্য হাসান শাহরিয়ার, গোলাম সারওয়ার, স্বপন সাহা, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ইলিয়ান খান, কোষাধ্যক্ষ আশরাফ আলী, কার্তিক চ্যাটাজি, হাসান আরেফিন ও শাসমুল হক দুররানী প্রমুখ। রীতি অনুসারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্ত্রীরা সেখানে উপস্থিত থাকেন। চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসিরও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ক্লাব সভাপতি অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বর্তমান কমিটি গত কয়েকমাসে ৫৭০ জনকে সদস্যপদ দিয়েছে। আগামীতে বিশেষ সাধারণ সভায় প্রয়োজনে সংবিধান করে আরো সদস্যপদ দেয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, প্রেস ক্লাবে যারা সদস্যপদ পাননি তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। প্রকৃত সাংবাদিকদের সদস্যপদ দেয়ার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বর্তমান কমিটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পেরে নতুন সদস্যরা ছিলেন ভীষণ খুশি। তারা কখনো টেনিস কোর্টের ভেতর কখনো বাইরে ঘুরে সিনিয়র ও পরিচিত সদস্যেদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলেন। চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছিরের সৌজন্যে রাতে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের আয়োজন করা হয়। সাদা ভাতের সঙ্গে গরুর মাংসের কালা ভুনাছাড়া ছিল ভিন্ন স্বাদের রান্না করা গরুর মাংস।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফেরদৌস আরা, বাপ্পা মজুমদার, কুনাল, দিনাত জাহান মুন্নী, রাফাত প্রমুখ। নৃত্য পরিবেশ করেন লিসা। আকর্ষণীয় র্যাফল ড্র- ঢাকা সিঙ্গাপুর ঢাকা, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের সৌজন্যে নোজপিন, হিরার আংটিসহ মোট ২৮টি পুুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি ঘটে।
এমইউ/বিএ