অনন্ত বিজয় হত্যা : ফটোসাংবাদিক ইদ্রিছ জামিনে মুক্ত
বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ফটো সাংবাদিক ইদ্রিছ আলী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার দুপুরে তিনি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ছগির মিয়া জানিয়েছেন, আদালতের জামিন আদেশের প্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় ইদ্রিছ আলী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
ইদ্রিছ আলী জাতীয় দৈনিক সংবাদ ও স্থানীয় দৈনিক সবুজ সিলেটের ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। গত ৭ জুন সিলেট নগরী থেকে সিআইডি পুলিশ ইদ্রিছকে আটক করে।
আটকের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরমান আলী দাবি করেছিলেন, অনন্ত বিজয় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তাকে্আটক করা হয়েছে।
এরপর ৮ জুন আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় ইদ্রিছ আলীকে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ইদ্রিছের কাছ থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি না করেই জেল হাজতে পাঠায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বিনা দোষে প্রায় পাঁচ মাস কারা ভোগের পর বুধবার জামিনে মুক্তি লাভ করেন ইদ্রিছ আলী। প্রায় পাঁচ মাস কারাগারে থাকাকালে সিআইডি ব্যাপক তদন্ত করেও তার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য পায়নি।
সিলেট মহানগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকায় ১২ মে সকালে ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আনসার বাংলা ৮ নামের একটি সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।
এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ওই রাতেই অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে অনন্ত বিজয় দাশের বড়ভাই রতেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাটির তদন্তভার সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগকে দেয়া হয়েছে।
ইদ্রিছ আলীর পর সিলেটের কানাইঘাট থেকে আটক করা শাবি ছাত্র মান্নান রাহি আদালতে অনন্ত বিজয় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। তবে ওই স্বীকারোক্তিতেও ইদ্রিছ আলীর নাম নেই।
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি