ধর্মযাজক হত্যাচেষ্টা : জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার গ্রেফতার


প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

পাবনার ঈশ্বরদীতে খ্রিস্টান ধর্ম যাজক লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাকারী ও এই মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব ওরফে তাওহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাওহিদ জেএমবি পাবনার আঞ্চলিক কমান্ডার। বুধবার দুপুরে ডিবি এবং সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বেলা ১২টার দিকে তাকে সদর উপজেলার মজিদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাকিবুল মজিদপুর গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে মানিকের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারকৃত রাকিবুল ধর্মযাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

গত ৫ অক্টোবর সকালে তিন যুবক মোটরসাইকেলযোগে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কে ভাড়া বাসায় ঢুকে ধর্মশিক্ষার নাম করে ঈশ্বরদীর ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে ওইদিন রাতে এ ঘটনায় লুক সরকার নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও পাবনা জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায়। এরই এক পর্যায়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা থেকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১২ অক্টোবর পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ জেএমবিকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়।

ওই গ্রেফতাররা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার নুরপুর গাংকোলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুর রাকিবুল ওরফে রাব্বি (২২), একই উপজেলা সিংগা পালপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম শেখের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), নাজিরপুর নিয়ামতুল্লাহপুর মৃত নওশের প্রামানিকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), মজিদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে তুলিব (২২) ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাঘবাড়িয়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (৩০)। এ ঘটনায় সদর থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর গ্রেফতারদের মধ্যে রাকিবুল আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া ঈশ্বরদী ও সদর থানা পুলিশ বাকি চারজনকে দুই দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠায়।

একে জামান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।