ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
এলিটা কিংসলের জোড়া গোলে শেখ কামাল ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। প্রথম সেমিফাইনালে মঙ্গলবার স্পিন ঘার বাজানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যরা। ম্যাচের অপর গোলটি করেন আরেক বিদেশি তারকা থমাস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই স্পিন ঘার বাজানকে চেপে ধরে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে ওঠে আফগানিস্তানের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন দলটি। খেলার ৭ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো আবাহনী। গোলরক্ষক হামিদুল্লাহর দৃঢ়তায় সে যাত্রা রক্ষা পায় তারা। আবাহনীর তিন ফরোয়ার্ড বারে শট নিলে প্রত্যেকটি শট দৃঢ়তার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন হামিদুল্লাহ।
এরপর আরো বেশ কিছু জোরালো আক্রমণ থেকে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। ২৪ মিনিটে থমাসের গোলে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। জাহিদের কর্নার থেকে হেড করেন এমিলি সামনে বল বাড়ালে থমাস হেড করে দিক বদলে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
দুই মিনিট পর মিনিটে জাহিদ একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে বারে শট নিলে তা গোলরক্ষক হামিদুল্লাহ ফিরিয়ে দেন। সাত মিনিট পর আবারো বাজানের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন গোলরক্ষক হামিদুল্লাহ। জাহিদের দূরপাল্লার শট ডানদিকে ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন তিনি। এরপর দুই দলই বেশকিছু আক্রমণ করলেও শেষ পর্যন্ত তা গোলের দেখা না পেলে ১-০ গোলের লিড নিয়েও মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষাকৃত ভালো ফুটবল খেলে স্পিন ঘার বাজান। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের কাছেই। ৫২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ পান জাহিদ। ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তার শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। তিন মিনিট পর আবার ফাঁকায় বল পেয়ে সুযোগ হাতছারা করেন থমাস। বাঁ প্রান্ত থেকে মিথুনের বাড়ানো ক্রস পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড।
৫৬ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ হাতছারা করে বাজান। রেজার শট দৃঢ়তার বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ। দুই মিনিট ব্যবধান বাড়ান চট্টগ্রাম আবাহনীর আরেক বিদেশি তারকা এলিটা কিংসলে। এই গোলে দারুণ কৃতিত্ব ছিল থমাসের। পাঁচজন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দারুণ থ্রু বাড়িয়ে দেন এলিটাকে। বল পেয়ে আলতো টোকায় গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে প্রবেশ করান তিনি।
৭৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় বাজান। ফ্রি কিক থেকে বল ক্লিয়ার করতে লাফিয়ে ওঠেন থমাস। একই সঙ্গে বাজানের হাসেমিও লাফ দেন। ফলে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজেদের জালেই বল প্রবেশ করান থমাস।
তিন মিনিট পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে বাজান। বাঁ প্রান্ত থেকে আসা বলে হাসেমির হেড করলে তা ডিফেন্ডার ফিরিয়ে দেন। ৮৮তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় এলিটা কিংসলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষক হামিদুল্লাহকে বোকা বানিয়ে বল জালে প্রবেশ করান এই স্ট্রাইকার।
৯৫ মিনিটে এলিটা একইভাবে আবারো বল পেয়েছিলেন। কিন্তু বারের বাইরে বল মেরে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ মিস করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
আরটি/বিএ