রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, প্রায় ১৫ হাজার কোটি ব্যয়ে সুন্দরবন থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের কোনো ক্ষতি করবে না। বর্তমান সরকার সুন্দরবনের দিকে লক্ষ্য রেখেই এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার সুফল ২০১৮ সাল থেকেই এ অঞ্চলের মানুষ পেতে শুরু করবে।

তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিরোধিতাকারীদের উদ্যেশে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে, আসলে তারা সঠিক বলছেন না। সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয় হলে, গাছ মরলে মানুষের কী হবে? মানুষের কথা কী কিছুই বলেন তারা? আমি জানি না তাদের মধ্যে দেশপ্রেম কতোটা আছে। তাদের ধারণা ঠিক না, ভুল ধারণা, মিথ্যা ধারণা। এটা ধোকা দেওয়া। এটা কারো না কারো স্বার্থ সিদ্ধি করা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, মংলা ঘসিয়াখালী চ্যানেলে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা খুলে দেয়া হবে। এই চ্যানেলটির নাব্যতা ফিরে আসলে মংলা বন্দরের পণ্য পরিবহন সুবিধাসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত অনেক খালে এখন বাঁধ রয়েছে। খালে বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষ এমনকি ধান চাষও করা হয়েছে। এটি জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করা হবে।

বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মংলা) আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি এ অঞ্চলের মানুষের বারবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এ অঞ্চলের পরিবেশ বা সুন্দবনের ক্ষতি হবে এ ধরনের কাজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র করার প্রশ্নেই ওঠে না। সে বিশ্বাস আমাদের আছে। তিনি পরিবেশে বান্ধব এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য তাপ বিদ্যুৎ ক্ন্দ্রেসহ বেপজা ও মংলা বন্দবের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, এ অঞ্চলে শিল্প ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলে সরকার প্রচুর রাজস্ব আদায়ে সক্ষম হবে। যা দেশের উন্নয়নের কাজে লাগবে।
 
মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্বল কান্তি ভট্রাচার্য।

শওকত আলী বাবু/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।