পাকিস্তানের ডোপ কেলেঙ্কারিতে ২টি পদক বাড়ছে বাংলাদেশের!
ক্রমশই বেরিয়ে আসছে সর্বশেষ সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) পাকিস্তানি অ্যাথলেটদের ডোপ কেলেঙ্কারির তথ্য। গত বছর ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু, পোখারা ও জানাকপুরে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসের অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ পেয়েছিল দুটি পদক।
পাকিস্তানের তিন অ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় প্রথমে জানা গিয়েছিল, একটি পদক বাড়তে পারে বাংলাদেশের। নতুন খবর হলো, বাংলাদেশের ভাণ্ডারে যোগ হতে পারে দুটি ব্রোঞ্জ পদক।
এসএ গেমসে অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি রৌপ্য ও একটি ব্রোঞ্জ। রৌপ্য পেয়েছিলেন ছেলেদের হাইজাম্পে মাহফুজুর রহমান এবং লংজাম্পে আল আমিন। গেমস শেষ হওয়ার ৬ মাস পর অ্যাথলেটিকসে দুটি ব্রোঞ্জ যোগ হলে বাংলাদেশের পদক সংখ্যাও বাড়বে।
গেমসে অ্যাথলেটদের ডোপ টেস্ট করার পর পাকিস্তানের যে তিনজনের পজিটিভ এসেছে তারা হলেন ১১০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণজয়ী মোহাম্মদ নাঈম, ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণজয়ী মেহবুব আলী ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ পাওয়া সামি উল্লাহ।
পাকিস্তান ৪ গুণিতক ১০০ মিটার ও ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে পেয়েছিল ব্রোঞ্জ পদক। এই দুই ইভেন্টে বাংলাদেশ হয়েছিল চতুর্থ। পাকিস্তানের দুটি রিলে দলেই ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটরা ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন এবং তার পদক বাতিল হবে।
সেক্ষেত্রে ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে হাসান আলী, মোহাম্মদ ইসমাইল, আবদুর রউফ ও সাইফুল ইসলাম এবং ৪ গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে জহির রায়হান, আবু তালেব, মাসুদ রানা ও সাইফুল ইসলামদের নাম উঠবে পদকের তালিকায়।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু এ বিষয়ে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনেকে জানিয়েছি। এখন তারাই এ বিষয়টা দেখবে। আমরা জানি কোন অ্যাথলেট ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে সে চার বছর নিষিদ্ধ হবে। সে কোন পদক পেলে তাও বাতিল হবে।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সূত্রে জানা গেছে, ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি আয়োজক কমিটি সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটিকে জানাবে। কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। যদি ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়া অ্যাথলেটদের রেজাল্ট বাতিল করে সাউথ এশিয়ান অলিম্পিক কমিটি, তাহলে অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের দুটি ব্রোঞ্জ বাড়বে।
আরআই/এসএএস/জেআইএম