আফ্রিদির চক্রান্তের শিকার কানেরিয়া!

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ পিএম, ১৭ মে ২০২০

করোনাকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভিরের সঙ্গে বেশ ‘লড়াই’ চলছে পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির। এরই মধ্যে নিজ দেশ থেকেই এক তুমুল বিতর্কের শিকার হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। এবার তাকে বিতর্কে টেনে আনছেন, দেশটির সাবেক লেগ স্পিনার, ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ দানিশ কানেরিয়া।

আফ্রিদির বিরুদ্ধে তার মারাত্মক অভিযোগ। এই বুমবুম অলরাউন্ডারের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন নাকি তিনি। যে কারণে, তার ক্যারিয়ার খুব একটা লম্বা হতে পারেনি।

পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করা দ্বিতীয় হিন্দু ক্রিকেটার কানেরিয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আফ্রিদি সব সময়েই তার বিরোধিতা করার সঙ্গে ওয়ানডে ক্রিকেট জীবনও শেষ করে দিয়েছেন।

কানেরিয়া পাকিস্তানের হয়ে ৬১টি টেস্ট খেলে ২৬১টি উইকেট নিয়েছেন। গড় ৩৪.৭৯; কিন্তু ২০০০ থেকে ২০১০- এই দশ বছরে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১৮টি ওয়ানডেতে।

করাচি থেকে সংবাদসংস্থাকে কানেরিয়া বলেন, ‍‍‘আফ্রিদি সব সময়ই আমার বিরোধিতা করেছে। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ ও ঘরোয়া ক্রিকেটেও। একজন যদি সব সময়েই আপনার বিরুদ্ধাচরণ করে যেতে থাকে, তাহলে ধর্ম ছাড়া আর কোন বিষয় সামনে আসতে পারে?’
সঙ্গে যোগ করেন, ‍‘আফ্রিদি ছাড়া আমি মঈন খান, রশিদ লতিফ, ইনজামাম-উল হক, ইউনিস খানের নেতৃত্বেও খেলেছি। শেষ দু’জন আমাকে সাহায্য করেছেন। তবে ইনজি ভাই, আমার সম্পর্কে সাধারণের কাছে প্রশংসা করতেন না।’

প্রসঙ্গত, গত বছরই কানেরিয়াকে সমর্থন করে সাবেক পাক পেসার শোয়েব আখতার বলেছিলেন, ধর্মীয় কারণেই পাকিস্তান দলে অনেকে কানেরিয়ার সঙ্গে ভাল ভাবে ব্যবহার করতেন না।

কানেরিয়া অভিযোগ কর বলেন, ‍‍‘আমি বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে পারিনি আফ্রিদির কারণে। যখন আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে এক দলে খেলতাম, তখন আফ্রিদি ছিল অধিনায়ক। সে আমাকে বেশির ভাগ ম্যাচেই দলের বাইরে রাখত। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচেও তাই করেছে। অনেক সময়ই যার পিছনে কোনও কারণ খুঁজে পাইনি।’

কানেরিয়া আরও বলেন, ‍‍‘আমার মতো আফ্রিদিও ছিল লেগস্পিনার। ওরা বলত, দু’জন স্পিনার এক দলে খেলার দরকার নেই।’

আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।