কপ সম্মেলনের আগেই রামপাল নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা চায় টিআইবি


প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

আগামী ৩০ নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২১ সম্মেলনের আগেই সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র রামপালের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সরকারের স্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ঘোষণা চায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে কপ সম্মেলন উপলক্ষে টিআইবি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র নিয়ে প্যারিসে আলোচনা হবে, এটা অবধারিত। তাই সম্মেলনে যোগদানের আগেই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্যারিস সম্মেলনে যাওয়ার আগেই সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্রের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করা উচিত সরকারের। আন্তর্জাতিক এক্সপার্টদের নিয়ে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা ও ক্ষতিকারণ প্রভাব পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া উচিত। কারণ কপ-২১ সম্মেলনে এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাই আমরা চাই না সরকার এ বিষয় নিয়ে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তারা আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকার করেছেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে। তবে সে অঙ্গীকার অনুসারে উন্নত দেশগুলো অর্থ ছাড় করছে না। আবার যতটুকু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা কোনো কোনো মহল থেকে ঋণ হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশ উভয় দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হোসেন খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে জানানো বিভিন্ন দাবিগুলো হলো- বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় শিল্পোন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহ প্রাক-শিল্পায়ন সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় হার সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে আইনি বাধ্যতামূলক চুক্তি বাস্তবায়ন করা; প্যারিস চুক্তিতে আইনি বাধ্যতার আওতায় ‘দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ’ নীতি মেনে কোনো অবস্থাতেই ঋণ নয়, উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ ও ‘নতুন’ অনুদানকে স্বীকৃতি দিয়ে জনবায়ু অর্থায়নের সর্বসম্মত সংগা নির্ধারণ এবং শিল্পোন্নত দেশসমূহ কর্তৃক ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে দীর্ঘমেয়াদে যথার্থ এবং চাহিদা ভিত্তিক অর্থায়নের পথনকশা প্রণয়ন করা।

এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অব্যাহত রাখা এবং প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিল প্রদানের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার প্রদান ও তা বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা প্যারিস চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা; জিসিএফ ও অন্যান্য উৎস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহকে তহবিল প্রদানে অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানায় টিআইবি।

জেইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।