রাজন হত্যা : শেষদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে


প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় নবম দিনের মতো মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তাসহ সাত পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এদিকে এই মামলার প্রধান আসামি সৌদিতে আটক কামরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে আনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সিলেট মহানগর দায়রা জাজ আকবর হোসেন মৃধা আটক আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। এ নিয়ে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে জানান মহানগর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী।

বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালতে উপস্থিত আছেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আলমগীর হোসেন, মামলার চার্জশিট প্রদানকারী তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর ডিবির পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার, জালালাবাদ থানার ওসি আক্তার হোসেন, একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আকঞ্জী, এসআই আরিফুল আমিন, এসআই সোহেল রানা ও সুনামগঞ্জের দিরাই থানার এসআই মহাদেব।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জাগো নিউজকে বলেন, এই সাতজনের সাক্ষ্য প্রদানের পর রাষ্ট্রপক্ষ এখানেই সাক্ষীগ্রহণ সমাপ্ত করার আবেদন করবে আদালতে। এ মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জন। আজ নিয়ে ৩৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।

আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

তারা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত, তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ তিন জন পলাতক রয়েছেন।

গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠান।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ তিন পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোক করে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।