নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন রকিবুর রহমান


প্রকাশিত: ১০:০১ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

১৯৯৬ সালে চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার কারসাজির মামলায় আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ডিএসইর সাবেক পরিচালক মো. রকিবুর রহমান। সেইসঙ্গে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন তিনি।

রোববার পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন রকিবুর রহমান।

রকিবুর রহমান আদালতে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ১৯৯০ সালে সাধারণ সভায়  চিটাগাং সিমেন্টের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হই। আর কমিশনের জারি করা ১৯৯৬ সালের ৪ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপন মেনে ১৯৯৭ সালের ১৯ মার্চ পদত্যাগ করি। সেই থেকে ওই কোম্পানির আর পরিচালক ছিলাম না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরে আমি কোন শেয়ার বিক্রয় করিনি। বরং বোনাস শেয়ার ও রাইট শেয়ারের কারণে তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়। আমি ও আমার ব্রোকারেজ হাউজ আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের অনিয়ম করিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এসইসি অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১৭ ধারার কোন অপরাধ করিনি। এবং যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় তার কোনটি করিনি। তাই আদালতের নিকট সুষ্ঠু বিচার পাব বলে আশা করি।

রকিবুরের বক্তব্য শেষে মামলার সাফাই সাক্ষী গ্রহণের জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর বুধবার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন শুধু মামলার আরেক আসামি এ.এস. শহুদুল হক বুলবুলের পক্ষে সাফাই সাক্ষী গ্রহণ হবে।

সাফাই সাক্ষ্য দিবেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ উল্লাহ ও প্রাক্তন ডিডি সরকার আলী আক্তার।

এদিকে, মামলার আরেক আসামি আবু তৈয়বের পক্ষে তার আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ভারতীয় এবং ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবে বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেছেন আসামিরা। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হন্তান্তর করেন।

এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও আসামি রকিবুর রহমান এবং এএস শহিদুল হক বুলবুল কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর লঙ্ঘন।

১৯৯৬ সালের জুলাইয়ে চিটাগাং সিমেন্টের শেয়ার দর ২ হাজার ৫৮৫ টাকা থেকে প্রায় ১ হাজার শতাংশ বেড়ে একই বছরের ডিসেম্বরে ১৮ হাজার ৪৮ টাকায় উন্নীত হয়। কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও এর নেপথ্যে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জকে দেয়নি কোম্পানিটি।

পরবর্তীতে দুই মাসের মধ্যে এর শেয়ারদর ১ হাজার ৭৩১ টাকায় নেমে আসে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসআই/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।