এসএসসি ও এইচএসসিতে সৃজনশীল পরীক্ষার আগে এমসিকিউ


প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

আগামী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল পরীক্ষার আগে এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, এতদিন এসএসসি এবং এইচএসসিতে প্রথমে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার পর  এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।

পরীক্ষাহলসমূহে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ২০১৬ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের পরীক্ষার আগে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ২০১৭ সাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি-তে এমসিকিউ পরীক্ষার মোট নম্বর থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে বর্তমানে যেসব বিষয়ে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয় সেসব বিষয়ে ৩০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হবে।

আর যেসব বিষয়ে ৩৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা হয়, সেসব বিষয়ে ২৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নরপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ দুটি পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে হ্রাসকৃত ১০ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে যুক্ত হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার বিষয়ক এ সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা বোর্ডসমূহের চেয়ারম্যানগণ, রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্কুল কলেজের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রশ্নপত্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও প্যাকেটজাতকরণের জন্য বিজিপ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে অটোমোশন এর আওতায় আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিজি প্রেসকে পুরোপুরি অটোমোশন করা হলে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে মানুষের কোন প্রকার স্পর্শ ছাড়াই প্রশ্নপত্র ছাপানো ও প্যাকেটজাতকরণ সম্ভব হবে।

সভায় জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি ৩টি পরীক্ষাতেই দিনের সংখ্যা ও সময়সীমা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এজন্য জেএসসি ও এসএসসি’তে মৌলিক বিষয়সমূহের পাবলিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা ও অন্য বিষয়সমূহের স্কুলভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী সভায় তার বক্তৃতায় বলেন, প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি বিচ্যুতি পরিহার করাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় বৃদ্ধি ও প্রাইভেট কোচিং নিরুৎসাহিত করার জন্য আরো উন্নত পরীক্ষা পদ্ধতি খুঁজে বের করার প্রয়োজন রয়েছে। একইসাথে পরীক্ষার্থীদের মানের পরিমাপক হিসেবে যথার্থ পরীক্ষা পদ্ধতি খুজে বের করার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের এ আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক ও ‘ব্রেন স্টোমিং’ পর্যায়ে রয়েছে। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালার আয়োজনসহ সবার মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এসএ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।