বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম অন্তত ফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে : আকবর
বিশ্ব যুব ক্রিকেটের শিরোপা জিতে এখন তারা আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। এ মুহূর্তে তিনি এবং তার দলের ক্রিকেটাররা জাতীয় বীর। সময়ের সবচেয়ে আলোচিত, আলোড়িত পারফরমার। ক্রিকেটার। সব আলোচনা-পর্যালোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সবার চোখ তাদের দিকেই স্থির হয়ে আছে। মোদ্দাকথা আকবর-ইমনরা এখন দেশের সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র।
এত বড় অর্জনের পর তারা শুধু হাইলাইটেডই নন, এরই মধ্যে অর্থপ্রাপ্তির ঘোষণাও এসেছে। এখন থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে বেতন পাবেন আকবর আলির দলের প্রতিজন সদস্য। আগামী দুই বছর প্রতি মাসে এ পরিমাণ অর্থ বোর্ড তাদের দেবে।
এই অর্থ দেয়ার ঘোষণায় বোর্ডকে তাৎক্ষণিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আকবর আলি। তবে বলতে ভুল করেননি, তারা কোনোরকম অর্থ-পুরস্কারের লোভে বা অর্থপ্রাপ্তির মোহে বিশ্বকাপ খেলতে যাননি। আকবর আলির ব্যাখ্যা, আসলে তাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে ভালো খেলা এবং অন্তত ফাইনাল খেলা।
ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর উল্লাস করতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়া এবং বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে বলা হলে আকবর বলেন, ফাইনাল ম্যাচে ইমোশন চলে আসতে পারে। তবে আমরা চেষ্টা করেছি ইমোশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
তিনি বলেন, বোর্ড থেকে যেটা পাব, তার জন্য আগাম ধন্যবাদ দিয়ে রাখছি। তবে আমরা কিন্তু কোনোরকম অর্থপ্রাপ্তির কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপ খেলতে যাইনি। আমরা যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাই তখন কিন্তু কোনো অর্থপ্রাপ্তির কথা মাথায় রেখে যাইনি। আমাদের প্রথম ও প্রধান টার্গেট ছিল ফাইনাল খেলা। সেখানে আমরা ট্রফি জিততে পেরেছি, তার জন্য সন্তুষ্ট।
বুধবার বিকেলে বীরের বেশে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখানো দলকে বিমানবন্দরে ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত করা হয়।
বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশের যুবারা। সঙ্গে ছিলেন কোচিং স্টাফরাও। সেখান আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ও বিসিবির কর্মকর্তারা।
এআরবি/বিএ